পীরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা: রংপুরের পীরগঞ্জে ১৫নং কাবিলপুর ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর কে কেন্দ্র করে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কে লাঞ্চিত করে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে লালদিঘী মেলা ও কাবিলপুর নতুন বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এলাকাবাসী ও প্রর্ত্যক্ষ দর্শী বিবরণে জানা যায় যে, গত ৫ জুলাই সকাল ১০ ঘটিকায় টুকনীপাড়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ডে বর্দ্ধীত সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী সহ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম। সভার মাঝে চেয়ারম্যান উক্ত ওয়ার্ডের ১৯ জন কাউন্সিলারের নাম ঘোষনা করেন । এর মধ্যে ১২ জন সদস্যই চেয়ারম্যান পরিবারের লোকজন। অপর পক্ষে উক্ত ওয়ার্ডের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহার হান্নান এর পরিবারে কাউকে কাউন্সিলর হিসাবে রাখা হয়নি। উক্ত বিষয়কে কেদ্র করে চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য সহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সমর্থকদের মাঝে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সহ তার লোকজন কে লেলিয়ে দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আহসান হাসান জুয়েল কে বেধড়ক প্রহার করে গুরুতর আহত করে । এরই প্রতিবাদে গত ৬ জুলাই, সকাল ১০ ঘটিকায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে স্থানী আঃ লীগ এর সমর্থক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেন। উক্ত প্রতিবাদ সভায় মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহারুল হান্নান এর স্ত্রীর নূরজাহান বেগম এর সভাপত্বিতে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মনোয়ার হাসান লাবলু, আহসান হাসান জুয়েল, সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আহাম্মদ আলী, আঃ লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। বক্তাগণ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সন্তান, আহসান হাসান জুয়েল বক্তব্য মাঝে বলেন চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামে বাবা ১৯৭১ সালে পিছ কমিটির সক্রীয় কর্মী ছিলেন, এমন কি তার পরিবারে এখনো জামাত শিবিরের শক্রীয় কর্মী রয়েছে। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান যে, আমি আঃ লীগের কেউ না, আমি শুধু ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে কোন অপ্রিতীকর কোন ঘটনা ঘটেনি। অপরদিকে ইউনিয়ন আঃ লীগের সভাপতি বকুল মিয়া জানান যে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হইতে চাইনি ফলে আমরা তাদের কে কমিটিতে রাখিনি। এ ঘটনাকে কেদ্র করে উক্ত এলাকায় উভয় পক্ষের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে, যেকোন মুহুর্ত্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্স ঘটতে পারে। এলাকাবাসী এব্যাপারে উধর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।