শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে কখনোই সংস্কার হবে না: সংস্কার কমিশন সদস্য তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে চাই-পার্বত্য উপদেষ্টা সকল টেলিভিশন চ্যানেল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ‘জুলাই অনির্বাণ’-শীর্ষক ভিডিওচিত্র প্রচারের উদ্যোগ আ.লীগ নিজেরাই নিজেদের পতন ডেকে এনেছে : জামায়াত আমির ব্রেক ফেল হয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে ২ কিঃমিঃ দূরে গিয়ে থামলো ট্রেন গণমাধ্যমের অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় সভা আয়োজনসহ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জনাব বাহারুল আলম নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের পরিচয় কালিগঞ্জে আছিয়া লুতফর প্রিপারেটরি স্কুলে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত সলেমান মামুন ব্যারিস্টার সুমন দুই দিনের রিমান্ডে

আমরা চাই, সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির মধ্যে ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলতে- পার্বত্য মেলায় প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৬.৪৯ এএম
  • ৪৪ বার পঠিত

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা, আন্তরিকতা, মানবতা বোধের কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্যাতিত, ক্ষুধার্ত ও পশ্চাদপদ মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করার জন্যই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য মেলার মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের মাঝে আমাদের পার্বত্য মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরা। পাশাপাশি আমাদের আহার, আচার ব্যবহার সবকিছু তুলে ধরাই হলো মেলার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমরা চাই, সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করা।

রাজধানীর বেইলি রোডে শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত পার্বত্য মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমযাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, সাবেক মহিলা এমপি বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. হুজুর আলী, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে আগত অতিথিবৃন্দ, বিভিন্ন সংস্থা থেকে আগত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছে। সরকার এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো ও মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণের ফলে পার্বত্য জেলা সমূহ আজ কোন পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার। তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য সামগ্রী, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী কোমর তাতেঁ বোনা পণ্য, বিভিন্ন মৌসুমী ফল, ঐতিহ্যবাহী পার্বত্য খাবার যা মেলার আকর্ষণকে অধিকতর বাড়িয়ে তুলেছে। তিনি বলেন, পার্বত্য মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর প্রচার ও বিপণনের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, যোগ্য নেতৃত্ব আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘ দু’যুগ ধরে চলমান পাহাড়ি-বাঙালি ভ্রাতৃঘাতী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে। তিনি বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফসল হিসেবে বিগত ২৬ বছরে বৃহত্তর পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। এই মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চিত্র ফুটে ওঠেছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ বসন্তে বিরাজ করুক সকলের মধ্যে আন্তরিকতা ও সহমর্মিতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের ফলেই পাহাড়ে আজ শান্তি বিরাজমান। মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারছে। তিনি সকলকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন কাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায় সকল প্রকার ফল ও অন্যান্য ফসলাদি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হচ্ছে। পার্বত্য এলাকা এখন পরিণত হয়েছে সম্পদের ভান্ডারে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সাহসী উদ্যোগের কারণেই ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছিল। ঐতিহাসিক এ চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে দীর্ঘ দুই যুগের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটে। এর পর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি অব্যাহতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আর পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। পার্বত্য অঞ্চলে এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে।
এর আগে প্রধান অতিথি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ফিতা কেটে, পায়রা ও বেলুন ওড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদবোধন করেন। তিনি পরে অতিথিদের নিয়ে মেলার স্টলসমূহ ঘুরে দেখেন এবং স্টলের কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে আগামি ১৪-১৭ ফেব্রুয়ারি চারদিনব্যাপী পার্বত্য মেলা চলবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ০৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পার্বত্য তিন জেলার ২৭৫ জন শিল্পীর ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনায় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। চারদিনব্যাপী এ পার্বত্য মেলায় ৯৭ টি স্টল বরাদ্দ রয়েছে। মেলার স্টলে তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য সামগ্রী, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী কোমর তাঁতে বোনা পণ্য, ঐতিহ্যবাহী পার্বত্য খাবার দ্রব্য প্রদর্শন ও বিক্রয় চলছে।

 

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
      1
23242526272829
30      
  12345
20212223242526
2728293031  
       
15161718192021
2930     
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com