পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামে কৃষি কাজ বেশিরভাগ মানুষ ছেড়ে দিয়েছে। আগে আমাদের মা-বোন, চাচি-দাদিরা বাড়ির আশপাশে ফসল উৎপাদন করে সারাবছর ঘরের মধ্যে আলু, মিষ্টিকুমড়া জাতীয় ফসল মজুত রাখতেন। কিন্তু এখন এসব কমে গেছে। তাই কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হতে হবে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের আবাদ বাড়াতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে। উপজেলাকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষকদের মূল ফসলের সঙ্গে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনেও আগ্রহী করে তুলতে হবে। রাঙ্গুনিয়ায় প্রচুর পাহাড় রয়েছে। তাই পাহাড়ে কি কি চাষ করা যায়, সেটির প্রতিও মনোযোগ দিতে হবে। কৃষি ক্যালেন্ডার প্রতিটি ইউনিয়নে ১০০০ করে দিবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচ্ছন্ন করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। পৌরসভা থেকে আরও একজন ক্লিনার দেওয়া হবে। উপজেলায় যেসব টিকাদার কাজ পেয়েও ফেলে রাখে তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অবৈধ গাছের গাড়ি বন্ধে জিরো টলারেন্সে নীতি অবলম্বন ও অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে কঠোর হতে হবে।
পরে সমবায় অফিসের মাধ্যমে পশ্চিম খুরুশিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যদের লভ্যাংশের অংশসহ তিন লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে ক্যান্সার, কিডনিসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে ৪৭টি চেকে ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করেন তিনি।