মুন্সিগঞ্জ জেলাধীন মিরকাদিম পৌরসভা সন্তান কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, পিতা আসেক আলী, রাম গোপাল পুর গ্রামে তার জম্মস্থান ও বাসস্থান, এইটাই তার দাদার বাড়ি নানার বাড়ি, স্কুল জীবনের শুরুতেই বাউডুলে স্বভাবের জাহাঙ্গির লেখা পড়ার চেয়ে ঘুরা ফেলা বেশি পছন্দ করতো, কখনো মাছ ধরা, গাছের আম চুরি করা, পাড়া ঘুরে বেড়ানো ছিল জাহাঙ্গীরের কর্ম, পরউপকারী মেয়েলি স্বভাবের জাহাঙ্গীরদের আর্থিক সচ্ছলতা তেমন ভাল ছিল না, বলা চলে পরিবারটি ছিল নিম্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণীভুক্ত।
তাই বিনোদ পুর রাম কুমার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করে জাহাঙ্গীরের আর কলেজ জীবনে প্রবেশ করা সম্ভব হয় নাই,পরিবারকে সাহায্য করতে কর্ম জীবন শুরু করতে হয়, হাঁস মুরগী পালন, বিক্রি, মৌসুমি ফল বিক্রি, যখন যে কাজ ভাল লাগতো সেই কাজই করে, পরিবারের আর্থিক প্রয়োজন সহযোগিতা করতো, জাহাঙ্গীরের একটা গুণ ছিল ছোট বড় সব ধরনের কাজ করতে পারতো।
চেতনায় একাত্তর সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহাম্মেদ ও বিদুৎ সচিবকে নিয়ে ডেঙ্গু দমনে পরিস্কার পরিছন্ন অভিযান এ বক্তব্য রাখছেন জাহাঙ্গীর-
প্রেম করে বিয়ে, স্ত্রী ময়না একজন সুশিক্ষিত গৃহলক্ষ্মী মহিলা, দুই মেয়ে, এক পুত্র তিন সন্তানের জনক জাহাঙ্গীর স্ত্রীকে যেমন ভালোবাসেন তেমনি ছেলে মেয়েরদের আদর করেন, তাই সন্তানদের উচ্চ শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে স্বামী স্ত্রী দুইজনই পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
জাহাঙ্গীর নিজ দোকান ঘরে ভেন্টিলেটরের ব্যবসা করেন, সংসার ভালই চলছে, তবে ব্যাবসার লাভের একটা অংশ সমাজ সেবায় ব্যয় করে, রাম গোপালপুর মানব উন্নয়ন পরিষদ নামে তার প্রতিষ্ঠিত একটি সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, গরিভ মেয়ের বিয়ে, গরিভ ছাত্র ছাত্রিদের বিয়ের বিষয় বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকেন। স্ব-পরিবারে কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর
তাছাড়া ব্যাক্তিগতভাবে নিজ এলাকার লোকদের মৌসুমি ফল সৌজন্যমুলকভাবে বিতরন করে আসছে, গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে পথচারিরা যখন তৃষ্ণার অতিষ্ঠ তখন জাহাঙ্গীর তাদের পান করান ঠাণ্ডা লেবুর শরবত, শীতল করান প্রান।তাছাড়া জাহাঙ্গির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের বিশুদ্ধ পানি পানে পানির জার বিনা মুল্যে বিতরন করে আসছে। জাহাঙ্গীর তিন বার স্থানীয় ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পদে নির্বাচন করে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। জাহাঙ্গির মনে করেন তিনি ভোটে হারেন নাই, হেরেছে অর্থ আর পেশী শক্তির কাছে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে মৌসুমি ফল বিতরন করছেন জাহাঙ্গির
জাহাঙ্গীরের সততা আর সামাজিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ভাস্করসহ একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে মিরকাদিম রত্নসহ বিভিন্ন পদক-এ ভূষিত করা হয়। আমাদের সমাজে জাহাঙ্গীররা আছে বলেই নিরিহ মানুষ আশায় বুক বাঁধে।