মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শিক্ষা মন্ত্রীর আদেশ উপেক্ষা করে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নে শিলই হাজী মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে কোচিং বাণিজ্য চলছে জোরেসোরে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা শিক্ষা মন্ত্রী আদেশ কোনভাবেই মানতে রাজি নয়। তাই লাগামহীন ভাবেই শিক্ষকরা মেতে উঠেছেন কোচিং বাণিজ্যে।
১৯৯৫ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিএনপি’র মতো আদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিরা তখন ও বর্তমানে জেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হাইয়ের বাবা হাজী মনির উদ্দিন এর নামেই এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়। সেই সময় যিনি এই নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরির উদ্যোগ নেন আজ তাঁর সন্তানরাই এ শিক্ষা প্রতিষ্টানের পরিচালনা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। এসব শিক্ষার্থীরা শ্রেণি অনুযায়ী কোচিংয়ে ৫শ’ টাকা দিয়ে কোচিং করছেন বলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করছেন। শিক্ষার্থীদের কোচিংয়ের উত্তোলিত টাকা শিক্ষকদের মাঝে বিতরণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত থাকা সত্বেও শিক্ষকরা এ কোচিং বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। লোভি শিক্ষকদের বেপরোয়া কোচিং বাণিজ্যের কারণে অভিভাবকদের প্রতি মাসে পকেট কাটা যাচ্ছে।
এদিকে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রকাশনীর বই পাঠ্য করা হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। তাতে শিক্ষকরা ঐ টাকায় লাভবান হলেও অভিভাবকরা ঐসব পাঠ্যকৃত বই কিনে নি:স্ব হচ্ছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল সাতটার দিকে শিক্ষার্থীরা কোচিং পড়ার জন্য বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। এ সময় কয়েকটি শ্রেনী কক্ষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কোচিং করাছিলেন। তখন অনিক লাইব্রেরির পাঠ্যকৃত বই শ্রেনী কক্ষে পাওয়া যায়।
প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন সরকার বলেন, তাঁর বিদ্যালয়ে কোন কোচিং বাণিজ্য হচ্ছে না। তাছাড়া এ বিদ্যালয়ে অন্যকোন বই পাঠ্য করা হয়নি।