লিয়াকত হোসেন, রাজশাহী: রাজশাহীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো অলি-গলিতে পাল্লা দিয়ে গড়ে উঠেছে। মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে খাদ্যের অধিকার নিয়ে একজন ভোক্ত ও ক্রেতা হিসেবে প্রথমত আমরা খাদ্যকে নিরাপদ মনে করি আর খাদ্যেই যদি ভেজাল থাকে তাহলে আমাদের নতুন প্রজন্মের মেধাশূন্য হবে! এই অস্বাস্থ্যকর ভেজাল খাদ্য হাট-বাজারগুলোতে সয়লাব হয়ে গেছে আর বাজার মনিটরিং কমিটি যেন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নিরাপদ খাদ্য সঠিকভাবে খাদ্য উৎপাদন করতে না পারায় জাতির মেধা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে!
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন অনিরাপদ খাদ্যের জন্য আমদের শিশুদের মেধার বিকাশ এ ঘাটতি হচ্ছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিক এলাকার এক চানাচুর ফ্যাক্টরি মালিকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায় খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের বেশকিছু সরকারি নিবন্ধন কাগজপত্র বা লাইসেন্স করতে হয়,যেমন বিএসটিআই লাইসেন্স পরিবেশ দূষণ মুক্ত লাইসেন্স কলকারখানা অধিদপ্তর লাইসেন্স স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স ফায়ার লাইসেন্স ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে ইনকাম ট্যাক্স এর ফাইল খোলা থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্সসহ এইসব কাগজপত্র বাধ্যতামূলক থাকতে হবে।ভাড়ার বিষয়ে সরকারি বিধিমালা মেনেই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে কিন্তু, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করে দেদারশে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
রনি ঝাল চানাচুর মটর ভাজা চিপস ইত্যাদি ঠিকানা পশ্চিম বালিয়া থানা কাশিয়াডাঙ্গা এলাকা। আশরাফ চিপস বুন্দিয়া চিড়া ভাজা মন্নাকা মিষ্টি নাড়ু নিমকি ভাজা, প্রাডন চানাচুর নিমকি চিপস ঠিকানা জাংঘাল পাড়া কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকা।
রাজিব ঝাল চানাচুর মটর ভাজা নিমকি ভাজা ঠিকানা পিয়াজির মোড় রাজপাড়া থানা এলাকা। দেশ ঝাল চানাচুর মটর ভাজা চিড়া ভাজা মুন্নাকা চিপস ঠিকানা-বারোরাস্তা মোড়ের পাশে চন্দ্রিমা থানা এলাকায়।
রানী ঝাল চানাচুর মটর ভাজা নিমকী বুন্দিয়া পাপোড় ঠিকানা-হরিপুর দামকুড়া থানা এলাকায়।রাজ: ঝাল চানাচুর,মটর ভাজা, চিড়া ভাজা, নিমকি মুন্নাকা চিপস ঠিকানা-মধুপুর দামকুড়া থানা এলাকায়, ঝাল চানাচুর বন্দিয়া পাপড় ঠিকানা হরিপুর দামকুড়া থানা এলাকা, দানা ঝাল চানাচুর মটর ভাজা নিমকি ঠিকানা সারপুকুর কর্ণহার থানা এলাকা,ফিটু ঝাল চানাচুর মটর ভাজা পাপোড় নিমকী মুন্নাকাসহ ঠিকানা শিতলাই দামকুড়া থানা এলাকা,
রাকিব ঝাল চানাচুর চিপস ঠিকানায় শিতলাই দামকুড়া থানা এলাকা,এসব কারখানাগুলোতে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় নিবন্ধনকৃত বৈধ কোন কাগজপত্র নাই!
ফ্যাক্টরি গুলোর আশেপাশের মানুষের অভিযোগ আমরা জানি চানাচুর নিমকি মুন্নাকা চিপস মুখো রুচি খাবার এবং এগুলো তৈরি হয় খেসারি বা বুটের ডালের বেসন দিয়ে অথচ এই কারখানা গুলোতে এত ভেজাল যে প্রকাশ্য মিশানো হচ্ছে বেসনের বদলে ভুট্টার ময়দা গমের ময়দা,এবং চানাচুর নিমকীতে কালার করার জন্য কাঠে দেওয়া সরিষা ফুলি রং ব্যবহার করা হচ্ছে!পচা ও বাসি পণ্য যেটা থাকে সেটাও আবার পুরোনো তেলের মধ্য দিয়ে তা আবার গরম করে আবারও প্যাকেটে বাজারজাত করা হচ্ছে।
মটর ভাজা তে এক ধরনের কাপড়ের সবুজ রং ব্যাবহার করা হচ্ছে, যা দিয়ে বুঝানো হয় যে কাঁচা কাঁচা মটর ভাজা টেস্টি লবণসহ খাস্তা করার জন্য ব্যাবহার করা হচ্ছে এ্যারোবেট পাউডার। কুড়া খালি ভাগাড়ের মাস্টার আমিনুল ইসলাম বলেন, স্কুলের পাশে দোকান গুলো থেকে ছোট ছোট বাচ্চারা এসব ভেজাল বিষাক্ত খাবার খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেক সময় স্কুলে আসতে পারে না। তবে শিতলাই এলাকার ফিটু ও রাকিব ২টি ভেজাল চানাচুর ফ্যাক্টরি সহ সকল ফ্যাক্টরি যেন বন্ধ হয়, এবং এদের বিরুদ্ধে সরকারি বিধান অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়,
সে বিষয়ে বিএসটিআই ভোক্তা-অধিকার অফিসে গিয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এখন পর্যন্ত, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এইসব কারখানাগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালত কতৃক অভিযান চালিয়ে অবিলম্বে বন্ধ করা আবশ্যক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে বিভিন্ন মহল থেকে!