শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মাজহারুল ইসলাম বিপিএম কালিগঞ্জের পল্লীতে প্রবাসীর জমি থেকে বৃক্ষ নিধনের অভিযোগ উঠেছে  বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা ও অন্য সদস্যদের প্রত্যাবাসন যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে- ফরিদপুরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী চলমান বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার নির্দেশ গণপূর্তমন্ত্রীর। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর পবিত্র ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাত্রা সাতক্ষীরা জেলার কনস্টেবল ও নায়েক পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের “দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স” এর ১৫তম ব্যাচের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠান শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যেগে বৃক্ষরোপণ যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নড়াইলসহ ১০ গ্রামের মানুষ তাদের চাঁদাবাজি ভয়ে আতঙ্কিত জনপদ!!

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ৯.০১ পিএম
  • ২৯০ বার পঠিত

উজ্জ্বল রায়, নড়াইলঃ আকঞ্জিবাহিনীর ভয়ে আতঙ্কিত নড়াইল ও যশোরের ১০ গ্রামের মানুষ। তাদের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষ। আকঞ্জিবাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির কথা সাংবাদিকদের সামনে বলতে সাহস পাননি অনেকে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক তরুণী ও গৃহবধূকে ধর্ষণেরও অভিযোগ রয়েছে। তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিভিন্ন পেশার মানুষ জানান, আকঞ্জিবাহিনীর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ নড়াইল সদরের মধুরগাতী, চাকই, রুখালী, আকবপুর, বিছালী, মির্জাপুর এবং যশোরের অভয়নগর উপজেলার মরিচা, ভবানীপুর, পোতপাড়াসহ আশেপাশের কয়েকটি এলাকার লোকজন। তাদের ভয়ে নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে হয়। আকঞ্জিবাহিনীর সদস্য সংখ্যা অন্তত ২০জন।  এদিকে, গত ১০ জানুয়ারি রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে আকঞ্জিবাহিনীর সদস্যরা নড়াইলের সীমান্তবর্তী যশোরের অভয়নগর উপজেলার মরিচা-ভবানীপুর-চাকই চৌরাস্তা এলাকার ধান-চাল ব্যবসায়ী ও কাঁচাবাজারের ইজারাদার শেখ নওয়াব আলীর কাছে মোবাইল ফোনে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনদিনের মধ্যে চাঁদার টাকা না দিলে ব্যবসায়ী নওয়াব আলীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। নওয়াব আলী বিষয়টি স্থানীয় বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দকে জানান।

নওয়াব আলী বাদী হয়ে ১৮ জানুয়ারি যশোরের অভয়নগর থানায় আকঞ্জিবাহিনীর প্রধান নড়াইল সদরের মধুরগাতী গ্রামের মনজুর হোসেন আকঞ্জিসহ (৫০) তার দুই সহযোগী একই উপজেলার চাকই গ্রামের মজনু মোল্যা মজিদের ছেলে আজমল হোসেন খোকন (৪৫) এবং লোহাগড়া উপজেলার ইতনা পশ্চিমপাড়ার মফিজুর রহমানের ছেলে কুদরত শেখ আকাশের (৩৩) নামে মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই মনজুর হোসেন আকঞ্জি ও আজমল হোসেন খোকনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও আকাশকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার বিরবণে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মনজুর হোসেন আকঞ্জিকে গ্রেফতারের পর মরিচা-ভবানীপুর-চাকই চৌরাস্তা বাজারে স্থানীয় লোকজনের সামনে অভয়নগর থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন; তারা (আসামিরা) পরস্পর যোগসাজসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী নওয়াব আলীর কাছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়া মনজুর হোসেন আকঞ্জিসহ আসামিরা একই ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদার টাকা নেয়। পুলিশ এ সময় মনজুর হোসেন আকঞ্জির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করে।

অন্যদিকে ব্যবসায়ী শেখ নওয়াব আলীর মামলায় প্রায় ১৩দিন আগে মনজুর আকঞ্জি ও খোকন জামিনে বের হয়েছে। এরপর থেকে নড়াইল ও যশোরের সীমান্তের ১০ গ্রামের বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের ভয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

কে এই আকঞ্জিবাহিনীর প্রধান :
তার পুরো নাম-‘মনজুর হোসেন আকঞ্জি’। নড়াইল সদরের বিছালী ইউনিয়নের মধুরগাতী গ্রামের উকিল উদ্দিন আকঞ্জির ছেলে। পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত রোমিও বাহিনীর অন্যতম সহযোগী এই মনজুর আকঞ্জি। ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি রাত তিনটার দিকে নড়াইল সদরের কাড়ারবিল এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী রুম্মান হোসেন রোমিও (২৮) নিহত হয়। নিহত রোমিও নড়াইল সদরের মুধুরগাতি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। রোমিওর নামে খুন, ডাকাতিসহ নড়াইল, যশোর ও অভয়নগর থানায় ১৩টি মামলা ছিল।

রোমিও নিহত হওয়ার পর বাহিনীপ্রধানের দায়িত্ব নেয় মনজুর হোসেন আকঞ্জি। এরপর থেকে এ এলাকায় আকঞ্জিবাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এ বাহিনীর সদস্যরা এলাকার দিনমজুর, ভ্যানচালক, নসিমন চালক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে থাকে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। এছাড়া গরু, ছাগলসহ গবাদি পশু চুরিরও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর আকঞ্জিবাহিনীর অত্যাচার আরো বেড়ে যায় বলে জানান ভূক্তভোগীরা। তাদের অত্যাচারে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আকঞ্জির সহযোগী হিসেবে কাজ করছে-মধুরগাতী গ্রামের হুমাউন মোল্যা ও শান্ত মোল্যাসহ অন্তত ২০জন।

এলাকাবাসীর দাবি, আকঞ্জিবাহিনীর প্রধান মনজুর হোসেন আকঞ্জিসহ তার লোকজনকে কাঠোর ভাবে দমন করে আইনের আওতায় আনা হোক। এতে এলাকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। তাদের চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও অত্যাচার-নির্যাতন থেকে রক্ষা পাবেন সাধারণ মানুষ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভয়নগর থানার পরিদর্শক এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ব্যবসায়ী শেখ নওয়াব আলীর কাছে চাঁদা দাবি করার অপরাধে মনজুর হোসেন আকঞ্জি ও আজমল হোসেন খোকনকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
  12345
27282930   
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com