মিয়ানমারে আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বৃহস্পতিবার সকালে সম্পন্ন হয়েছে।
কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে উক্ত প্রত্যাবাসন কার্যক্রম আয়োজন করা হয়। ১১ মার্চ ২০২৪ তারিখ হতে বিভিন্ন সময়ে তারা নাফ নদী ও স্থল সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের আশ্রয় নেন। এত দিন তাঁদের বিজিবির হেফাজতে নাইক্ষ্যংছড়ির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছিল।
মিয়ানমারের সাথে আলোচনাক্রমে প্রত্যাবাসন সম্পাদনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে এ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্য সদস্যদের প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্টগার্ড, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
জাহাজযোগে আগত মিয়ানমারের প্রতিনিধিবৃন্দ ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ির ক্যাম্পে অবস্থানরত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য সদস্যদের বিজিবির সার্বিক সহায়তায় সনাক্তকরণ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। উক্ত স্থানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাহাজযোগে আগত বিজিপি সদস্যদের নিকট তাদের হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য চলতি বছরে এ পর্যন্ত ছয়শতের অধিক আশ্রয়প্রার্থী মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় প্রদান ও প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমবার গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।