বাকু, আজারবাইজান, ২০ নভেম্বর ২০২৪ — পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে স্থানীয়, জাতীয়, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৯)-এ ‘বাংলাদেশে এনজিও-এমএফআই রিসোর্স পুল প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, কার্যকর সম্পদ সমন্বয়ই অর্থায়নের ঘাটতি পূরণ এবং উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের চাবিকাঠি।
পরবর্তীতে, কপ-২৯-এর আরেকটি অধিবেশন ‘জলবায়ু সংকট: বাংলাদেশে নারী ও পানি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনায় সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জলবায়ু ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে নারী অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে, আমাদের শুধু নীতিগত অবস্থান নয়, ন্যায়বিচারের ধারণায়ও পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলতে হবে। পরিবেশ ও মানবতার ন্যায়বিচার পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
তিনি নারীদের জলবায়ু সংগ্রামের দলিল সংরক্ষণ, নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সংলাপ এবং লিঙ্গ-সংবেদনশীল আইন ও নীতি তৈরির আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, নারীরা শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার নন—তাঁরা পরিবর্তনের ধারক। তাঁদের কণ্ঠস্বর শোনা, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন এবং আলোচনার টেবিলে তাঁদের নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি।
কপ-২৯-এর আরেকটি অনুষ্ঠান ‘বেসরকারি খাতের জলবায়ু অর্থায়ন: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ তে তিনি জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া, সাইদা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ইউরোপীয় কমিশনের জলবায়ু বিষয়ক মহাপরিচালকের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে তিনি জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।