গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বন বিভাগের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি যৌথবাহিনীর সহায়তায় বন বিভাগের উদ্যোগে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ৬ একর বনভূমি উদ্ধার করা হলেও, অভিযানের কিছুদিন পরেই নতুন করে আবারও স্থাপনা গড়ে উঠতে শুরু করেছে। গত ২৩ অক্টোবর, উপজেলার সফিপুর বুটমিল পাশা গেট ও রতনপুর রেলগেট এলাকায় পরিচালিত অভিযানে বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ভূমিদস্যুরা বন বিভাগের গাছ কেটে ও জমি দখল করে সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলছে। বন বিভাগের কর্মীরা একাধিকবার বাধা দিলেও দখলদাররা থামেনি। বরং উচ্ছেদ অভিযানের সময়ে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে কালিয়াকৈর থানায় একাধিক মামলা করেছেন বন বিভাগের কর্মীরা।
ঢাকা বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহমেদের তত্ত্বাবধানে, ৮০ জন বন কর্মকর্তা এবং চারটি রেঞ্জের ২৫টি বিটের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল। উচ্ছেদ অভিযান সফল হলেও, কিছুদিন যেতে না যেতেই একই স্থানে আবারও অবৈধ দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে জানান, অভিযানের পরেও দখলদাররা ফের স্থাপনা গড়ে তুলেছে, যা পুরো অভিযানের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এ প্রসঙ্গে এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, “এভাবে উচ্ছেদ অভিযান চললেও কার্যকরী কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ কিছুদিন পরেই আবারও দোকানপাট তৈরি হয়ে যায়।”
স্থানীয়দের মতে, উচ্ছেদ অভিযানে স্থায়িত্ব আনতে প্রয়োজন নিয়মিত মনিটরিং এবং কঠোর আইন প্রয়োগ। নয়তো বন বিভাগের জমি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখবে না বলে মনে করেন তারা।