মো. জাবের হোসেন : অপরাধ দমনে বিশেষ অবদান রাখায় খুলনা রেঞ্জের দশটি জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ চৌকস সার্কেল নির্বাচিত হয়েছেন সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহ্উদ্দিন।
খুলনা রেঞ্জ পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় রেঞ্জের দশটি জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ চৌকস এসআই নির্বাচিত হয়েছেন সাতক্ষীরা থানার নুর আলম এবং এএসআই হয়েছেন সাতক্ষীরা থানার এএসআই শাহানুর আলম। গত ৯ জানুয়ারি ২০২০ মাসে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় নুর আলম খান জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়ে পুলিশ সুপারের নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট অর্জন করেন। বৃহষ্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের জানুয়ারি- ২০২০ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অপরাধ পর্যালোচনা সভার সভাপতি ও খুলনা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) দশটি জেলার অপরাধ চিত্র পর্যালোচনা পূর্বক রেঞ্জের মধ্যে রেকর্ড ব্রেক পরিমাণ গাঁজা, ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক করে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই সাতক্ষীরা থানার নুর আলম খাঁন এবং এএসআই শাহানুর আলম’কে রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ চৌকস সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
সাতক্ষীরা জেলা থেকে ইতিপূর্বে কোন এএসআই রেঞ্জ শ্রেষ্ঠ হতে পারেন নি বলে একাধিক সূত্র জানায়।
খুলনা রেঞ্জ অফিসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ চৌকস অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান। অপরাধ সভায় রেঞ্জ ডিআইজি তাকে রেঞ্জ পুলিশের শ্রেষ্ঠ চৌকস ওসির সন্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
তাছাড়া খুলনা রেঞ্জের দশটি জেলার মধ্যে তদন্তাধীন মামলা নিষ্পত্তি করে রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ চৌকস জেলা পুলিশ নির্বাচিত হয়েছেন খুলনা জেলা পুলিশ। খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ (বিপিএম) রেঞ্জ ডিআইজির নিকট থেকে শ্রেষ্ঠ চৌকস জেলা পুলিশের সন্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। অপরাধীদের কাছে বড় আতঙ্কের একটি নাম এসপি শফিউল্লাহ (বিপিএম)। তিনি খুলনায় পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদানের মাত্র ১ বৎসরের মধ্যে খুলনা জেলাকে মাদক-জঙ্গী ও সন্ত্রাস মুক্ত জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।
খুলনায় সম্প্রতি যে কয়টি চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলা, ডাকাতি,ধর্ষণ মামলা হয়েছিল তার সব কয়টি মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন রেঞ্জ সেরা এই পুলিশ সুপার।
এছাড়া খুলনা রেঞ্জ পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ওয়ারেন্ট নিষ্পত্তিতে রেঞ্জের দশটি জেলার মধ্যে নড়াইল জেলা পুলিশ শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) রেঞ্জ ডিআইজির নিকট থেকে সন্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড.খন্দকার মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের এডিশনাল ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (প্রশাসন এন্ড ফিন্যান্স) মো. হাবিবুর রহমান বিপিএম। অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) একেএম নাহিদুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (ডিসিপ্লিন এন্ড প্রসিকিউশান) খন্দকার অহিদুল করিম,রেঞ্জ অফিসের মিডিয়া সেলের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন সহ খুলনা রেঞ্জের দশ জেলার পুলিশ সুপার উক্ত অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এসআই নুর আলম মোবাইলে এ প্রতিবেদককে বলেন,কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ পুরষ্কার প্রাপ্তিটা সৌভাগ্যের। এ পুরষ্কার আমার কাজের গতিকে আরো একধাপ এগিয়ে দেবে।জনগনের কল্যাণে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
এএসআই শাহানুর আলম বলেন,সত্যি পুরষ্কার পেয়ে আমি আর্বিভূত হয়েছি। আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।তবে আমাকে আমার পুরষ্কার পেতে বা কাজের ক্ষেতে এগিয়ে যেতে সর্বদা পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন ওসি স্যার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান স্যারও খুব আন্তরিক। আমি সুন্দরভাবে সবার সহযোগিতা নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে চাই। সকলের কাছে দোয়া চাই