নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় বের করে দেওয়া সেই নারী চিকিৎসককে বাসায় তুলে দিল পুলিশ। ওই নারীকে বের করে দেওয়ার সংবাদ প্রচার হওয়ার একঘণ্টার মধ্যেই তাকে বাসায় তুলে দেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা আবদুস সামাদ।
এবিষয়ে ওসি আবদুস সামাদ বলেন, বিষয়টি অবহিত হয়ে আমি ডা. আসমা আক্তারকে বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে পৌঁছে দিই। সে সময় বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলী এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ডা. আসমা আক্তার জানান, বাড়িওয়ালা তার অপ্রীতিকর কর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া এ মূহুর্তে বোনের বাসায় থেকে তিনি আগের মতো চিকিৎসাসেবা দিতে করতে পারবেন। এজন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাঈনুল ইসলাম জানান, বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলী তার সঙ্গে দেখা করে বলেন, এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত এবং না বুঝে এ রকম কাজ করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
ডা. আসমা আক্তার সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত সব নিয়ম-কানুন মেনে সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে রফিক মাস্টারের বাড়ির মোহাম্মদ আলীর বাসায় তার ছোট বোনের পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লায়।
হঠাৎ গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে তার ছোট বোন তাকে বলেন তিনি যেন আর তাদের বাড়িতে না যান। ওই দিন সন্ধ্যার সময় তিনি বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী তাকে অপমানজনক কথা বলেন এবং ওই বাসায় যেতে নিষেধ করেন। বাড়ির মালিকের ধারণা তার বাইরে যাওয়া-আসার কারণে তারা করোনা আক্রান্ত হবেন।
সূত্র: ডিএমপি