রেজাউল ইসলাম:বিশ্বব্যাপী মুমিনের মুক্তির বার্তা নিয়ে এল মাহে রমজানুল মোবারক। রোজা ফারসী শব্দ। যার অর্থ- পুড়িয়ে ফেলা। নোবেল বিজয়ী বিশ্ব বিখ্যাত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী এলিক্সেস বলেন, রোজা সকল পঙ্কিলতাসহ দীর্ঘ একমাস মানব দেহের রক্তের বিষাক্ত টকসিনসহ পাকস্থলীর সকল বর্জ্যগুলোকে ধুইয়ে-মুছে পরিস্কার করে দেয়। যে কারণে পৃথিবীর প্রায় সকল ধর্ম বর্ণের লোকেরা সৃষ্টিকর্তাকে খুশির উদ্দেশ্যে না হলেও তাদের শরীরের গঠণ প্রণালী সুস্থ রাখতে বছরের কিছুদিন রোজা পালন করে থাকেন।
আদম (আ.) এর গুনাহ মাফের অন্যতম অধ্যায় ছিল আল্লাহর রাহে তিনটি রোজা পালন। সে থেকে পৃথিবীতে সিয়াম সাধনার প্রচলন শুরু হয়। নবী করিম (স:) এর পূর্বে অন্যান্য নবী-রাসুলগণ তিনটি রোজা পালন করতেন। যা রাসুল (স:) পরিবর্তন করে তা পালনে তার উম্মতের জন্য প্রতি বছর রমজান মাসে ধারাবাহিকতা এনে দেন।
যে কারণে হাদিস শরীফে এসেছে, যে ব্যক্তি শাওয়াল মাসে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছয়টি রোজা পালন করবে, সে যেন পূর্ণ ১ বছরের রোজা পালনের সওয়াব অর্জন করলো। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তোমরা নবী দাউদ আ. এর ন্যায় রোজা পালন করো। যিনি বছরের ৬ মাস রোজ পালনসহ রাতের দীর্ঘ সময় সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদতে কাটিয়ে দিতেন। অতএব রোজা পালনের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনসহ বান্দাহর গুনাহ মাফের সকল দ্বার উন্মুক্ত হয়।
আমরা সবাই মহান আল্লাহর দরবারে কাতর কন্ঠে প্রার্থনা করি যেন রমজানের উসিলায় সমগ্র বিশ্বের মানুষকে করোনা নামক মহামারী থেকে হেফাজত করেন।