৯৬ সালে আমানউল্লাহ আমান শ্রম প্রতিমন্ত্রী হয়ে প্রথমে সাংবাদিকদের শ্রম আইনের অধীনে নিয়ে কাজটি ভাল করে যাননি।
৪৯ বছর সময়ে দাঁড়িয়ে কখনো সাংবাদিকেরা তথ্য মন্ত্রণালয়, কখনো শ্রম মন্ত্রণালয়ের আওতায়। কী এক আজব দেশ! আসলে এই পেশার সাথে জড়িত দেশের কয়েক হাজার সাংবাদিক আজো খুঁজে পেলোনা তাদের আপন নিবাস।
যেমন: শিক্ষকরা শিক্ষা অধিদপ্তর, কৃষকরা কৃষি অধিদপ্তরে, চৌকিদার- পুলিশেরা স্বরাষ্ট্র, ডাক্তাররা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এমনকি ইমামরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পৃক্ত । প্রশ্ন রইলো সাংবাদিকরা কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ (১-৭ মে) চলাকালে আপনিও সাংবাদিকদের অধিকার, মর্যাদা ও দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে শপথ নিন। নিরাপদ সাংবাদিকতার পরিবেশ গড়ে তুলতে পরিকল্পনা ও কৌশল সংগ্রহ করুন।
জানেনতো, সমাজের সকল পেশাজীবীরা আপনারা/ সাংবাদিকদের লেখনী দিয়ে দাবি আদায় করে ঘরে ফিরে গেছেন। বিষয়টি যেমন মিস্ত্রি বাড়ি ঘর ওঠেনা অনেকটা সেরকম।
আপনি সাংবাদিক। তাই নিজ নিজ এলাকায় পেশাগত ঐক্যবদ্ধ থাকুন। বিএমএসএফ’র ১৪ দফা বাস্তবায়নের জন্য আপনার এলাকায় সকলকে নিয়ে কমিটি করুন। আপনি অন্য সংগঠন করেন সমস্যা নেই। বিএমএসএফ সকল সাংবাদিকের কথা বলে।
আপনার এলাকায় পেশার সাথে বিরোধীর তালিকা তৈরী করুন। নিজ আইডিতে অন্তত সাংবাদিকদের দাবি অধিকার নিয়ে আপনিও দু কলম লিখুন…
আপনি সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিককে অন্তত স্নেহ করতে শিখুন। এমনটি শুরু করলে জুনিয়ররা আপনাকে ভক্তি শুরু করবে। দয়া করে পেশাটিকে আর কলংকিত না করে পেশাটি রক্ষায় আন্তরিক হোন।
বিএমএসএফ’র পাশে থাকুন- সাংবাদিকদের ভালবাসুন…।
আহমেদ আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক, বিএমএসএফ, কেন্দ্রীয় কমিটি ০১৭১২৩০৬৫০১। ৫ মে ২০২০।