পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অবৈধভাবে পাহাড়ে বসবাসকারীদের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। তিনি প্রশ্ন করেন, “অবৈধ দখলকারীরা কীভাবে এসব সংযোগ পায়?” পাহাড়ের মালিক হলেও পাহাড় কাটলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রবিবার বিকালে চট্টগ্রামের আকবরশাহ্ এলাকায় অবৈধ পাহাড় কাটা রোধে পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং পাহাড় সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।
উপদেষ্টা বলেন, “অপরিকল্পিত পাহাড় কাটা এবং অব্যবস্থাপনার কারণে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে। এ ধরনের কার্যক্রম দ্রুত বন্ধ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাহাড় সংরক্ষণ শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি সবার দায়িত্ব। স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন ও পরিবেশবাদীদের সম্মিলিত উদ্যোগে পাহাড়ি অঞ্চলের পরিবেশ পুনরুদ্ধার সম্ভব।”
পরিদর্শনের সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, স্থানীয় প্রশাসন, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা পাহাড়ি অঞ্চলের সমস্যা তুলে ধরেন এবং এর সমাধানে সহযোগিতা চান।
উপদেষ্টা স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করতে পাহাড় ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা অত্যাবশ্যক। পরিবেশবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে