নিউজ ডেস্ক: দেশের ২য় বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংক পিএলসি’র দীর্ঘদিনের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাগণ পুনরায় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সম্প্রতি রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলিতে দীর্ঘদিনের বৈষম্য ও জট দূরীকরণের নিমিত্তে সুপারনিউমেরারি পদোন্নতি প্রদান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাংকগুলির বিভিন্ন গ্রেডের কর্মকর্তাদেরকে সোনালী ব্যাংক ২২০০, অগ্রণী ব্যাংক, ৩০৮৪ এবং রুপালী ব্যাংক ৩২০৯ জনকে পদোন্নতি দেয়, যেখানে জনতা ব্যাংক সুপারনিউমেরারি পদোন্নতি দেয় মাত্র ৫৭৯ জন কর্মকর্তাদেরকে। এর ফলে প্রকৃত বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তাগণ আবারও বৈষম্যের শিকার হয়ে বঞ্চিত হয়। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে কৃচ্ছতা সাধন নীতি অবলম্বন করায় এবং ফ্যাসিবাদি পতিত স্বৈরাচারের দোষরদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিগত দিনগুলোতে বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কিছু কর্মকর্তাগণ পদোন্নতি সুবিধা পাওয়ার ফলে জনতা ব্যাংকে এক ধরনের কৃত্রিম জট ও বৈষম্যের সৃষ্টি হয় যা সম্পূর্ণ ২৪ এর চেতনার পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ব্যাংকের অধিকাংশ কর্মকর্তাগণ।
জনতা ব্যাংকের কৃত্তিম এই জট ও বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে বঞ্চিতদের মানবিক দাবির প্রেক্ষিতে কর্মকর্তাগণ আন্দোলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের বৈষম্য ও জট দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশ্বস্ত করলেও কর্মকর্তাদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন এই পদোন্নতিতে ঘটেনি। উল্টো যারা বিগত পাঁচ বছরে ফ্যাসিবাদি সরকার আমলে যারা পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়েছেন, এবারও তারাই পদোন্নতি পেয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে ব্যাংকটিতে এক ধরণের অসাম্য ও মাত্রাতিরিক্ত বৈষম্য ও বঞ্চনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কেননা এই পদোন্নতিতে সিনিয়ররা হয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র আবার জুনিয়ররা হয়ে যাচ্ছেন সিনিয়র। এ কারণে জনতা ব্যাংকে একদিকে যেমন ভারসাম্যহীনতা দেখা দিচ্ছে, অপরদিকে কর্মী অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে কর্মস্পৃহা হারিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত ব্যাংকটির অধিকাংশ কর্মকর্তাগণ। পদোন্নতির ক্ষেত্রে বর্তমান এই সংকট ও পরিস্থিতির জন্য বর্তমান ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বোর্ডকেই দায়ি করেছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়কজন কর্মকর্তা।