অনলাইন ডেস্কঃ
করোনার সংক্রমণ থেকে জনসাধারনকে রক্ষায় পুলিশের বীরোচিত কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীতে একটি বেসরকারী হাসপাতাল বন্দোবস্ত দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, সরকার প্রধানের ব্যক্তিগত অনুগ্রহ ও উদারতায় করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার লক্ষ্যে রাজধানীর বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালটি আড়াই মাসের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল এবং ইমপালস হাসপাতালের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এখন থেকে করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের নিবিড় চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি ব্যবহৃত হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
আগ্রহ ও সদিচ্ছা এবং বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই আয়োজন সম্ভব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
হাসপাতালটি বন্দোবস্থ করতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও সহযোগিতা রয়েছে।
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। ইতোমধ্যে এর সুফল পাওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব গ্রহনের করেই ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) পুলিশের সব ইউনিট প্রধানগনকে স্বস্ব ইউনিটের আক্রান্ত পুলিশ সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা সহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। এর বাইরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে সারাদেশে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসায় জন্য ইমপালস হাসপাতালের বন্দোবস্ত করা সেই প্রক্রিয়ারই ধারাবাহিকতা।
বাংলাদেশ পুলিশের দেশপ্রেমিক সদস্যদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উদারতা ও ভালবাসার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন আইজিপি।
সংবাদসূত্র: ডিএমপি নিউজ