জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আর নেই। আজ বিকাল ৫ টায় ঢাকার সিএমএইচে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।
আহ্ছানিয়া মিশনের সাথে অধ্যাপক জামানের অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা ছিল। আনিসুজ্জামান তাঁর অসংখ্য লেখা ও বক্তৃতায় আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা সম্পর্কে লিখেছেন ও বলেছেন।
গত ৩০ নভেম্বর ড. আনিসুজ্জামান শিক্ষায় অনন্য অবদানের জন্য ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন প্রদত্ত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা স্বর্ণপদকে ভুষিত হন। সম্ভবত, জীবদ্দশায় এটিই তাঁর শেষ পুরস্কার।
গত ২৭ ডিসেম্বর খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইন্সটিটিউট প্রকাশিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাপর্বে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার ভূমিকা’ শীর্ষক গ্রন্থের ভূমিকা লিখেছিলেন, এটাই বোধহয় তাঁর কোন গ্রন্থের শেষ ভূমিকা লেখা।
ড. আনিসুজ্জামান দেশের অবিসংবদিত শিক্ষাগুরু; শিক্ষকদের শিক্ষক। তিনি ছিলেন ক্রান্তিকালে জাতির অভিভাবক, বাতিঘর, কিংবদন্তি। তাঁর মৃত্যুতে দেশে একটি একটি অপূরণীয় শুণ্যতার সৃষ্টি হলো।
আহ্ছানিয়া মিশন পরিবার এই অনুরাগী পরম বন্ধুকে হারিয়ে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এবং খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান মৌ. আনছারউদ্দিন আহমদ, ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক এ এফ এম এনামুল হক গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
মো. মনিরুল ইসলাম
পরিচালক
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইন্সটিটিউট।