সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চেড়াঘাট গ্রামের দরিদ্র কৃষকের মাদ্রাসা পড়ুয়া সন্তান লিটন। জন্ম ১৯৮৭ সাল। দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত কৃষক বাবা তাকে ভর্তি করান মাদ্রাসায়। উল্লেখ্য জামাত অধ্যষিত এই চেড়াঘাট গ্রামের ৯০% মানুষই জন্মসূত্রে জামাত সমর্থক। অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির লিটন নাম মাদ্রাসায় পড়াকালীন শিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডার হয়ে যান।। ২০১৩/১৪ সালের নাশকতার সময় এই লিটনের অত্যাচার ছিল সীমাহীন। ১৩/১৪ সালে নাশকতার সময় কলারোয়া বাজার, দমদম বাজার, সোনাবাড়ীয়া বাজার, যুগীবাড়ি মোড় এবং ব্রজবাকসা মোড়ে সে ত্রাশের রাজ্য কায়েম করেছিল। তৎকালীন কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বর্তমানে কলারোয়া থানার ৩ নং কয়লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ ইমরানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ / আওয়ামীলীগের সাথে নুর মোহাম্মাদ সিরাজী ওরফে লিটনের নেতৃত্বে শিবিরের সাথে কলারোয়া হাসপাতাল রোড সহ বিভিন্ন জায়গায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনের পর সে আত্ন গোপনে যায়। ৩৩ বছরের এই যুবক কয়েকটি বিয়েও করে। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে বহু টাকা লোটপাট করে। তার নামে একাধিক চেক জালিয়াতির মামলা সহ বিভিন্ন মামলা আছে। তারপর সে ঢাকায় এসে আত্নগোপন করে। সে সময় পার্বত্য সন্ত্রাসী রকি বড়ুয়া, হেফাজত ইসলাম, ও ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে সংখ্যতা গড়ে তোলে। তাদের মদদে এবং কোন কূট কৌশল বাস্তব্য়নে নতুন করে পরিচিত হয় মওলানা নূর মোহাম্মাদ সিরাজী নামে। প্রয়াত শওকত হোসেন নিলুর এনপিপিতে যোগ দিয়ে বড় নেতা হয়ে যান। তারপর এক সময় ওলামা লীগের নেতাদের সাথে মিশতে থাকে। এভাবে আওয়ামী ঘরোনায় ঢুকে যায়। এক পর্যায়ে বিভিন্ন নেতাদের মাধ্যমে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে মিশতে থাকে। এসবির একজন দায়িত্বশীল উদ্ধর্তন কর্মকর্তার সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তোলে। অত্যন্ত সজ্জন অফিসার এই শিবির নেতার চালাকি বুঝতে না পেরে গভীরভাবে মিশতে থাকে। তার সুবাদে শুরু একে একে সব উদ্ধর্তন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে সেলফি আর যাতায়াত। তারপর শুরু করে মন্ত্রী আর এমপিদের সাথে ঘনিষ্ঠতা। এভাবেই সে রকি বড়ুয়াকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। উল্লেখ্য রকি বড়ুয়ার ডেরা বান্দরবনে সে প্রায় নারী সহ যাতায়াত করে। এবং সারা দেশে ট্যুর করতে থাকে। রংপুরের জয় সদন থেকে শুরু করে গণভবন! আর ওসি থেকে শুরু করে এডিশনাল আইজি পর্যন্ত! সমস্ত জায়গায় তার পদচারণা আর সেলফিবাজী। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর সচিব বিপুল বিক্রমে তার পদচারণা আর সেলফিবাজী।
সাঈদীর ছেলে, রকি বড়ুয়া, হেফাজত ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, সহ জামাত শিবির! সব জায়গায় তার অবাধ পদচারণা। মূলত এদের স্পাই হিসাবেই সে নিয়োজিত।
কয়লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন বলেন, এই সিরাজী ওরফে লিটনের নেতৃত্বে শিবির ১৩/১৪ সালে ছাত্রলীগের উপর যে অত্যাচার করেছে তা কখনো ভুলবার নয়। এরকম একজন দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার কিভাবে গণভবন পর্যন্ত পৌঁছালো সেটা আমার বোধগম্য নয়।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দৃষ্টিআকর্ষণ করছি
সাতক্ষীরা জেলা সহ পুরো বাংলাদেশে এই জামায়াত শিবির ও বিএনপির অনুপ্রবেশকারীর তাণ্ডবে আজ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা দিশেহারা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিই পারেন আওয়ামী পরিবার কে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার পাশে কিভাবে এক জন শিবির ক্যাডার যেতে পারে নিশ্চয় সরিষার ভিতরে ভূত
আছে
আপনি সর্বদাই খেয়াল রাখবেন ইনশাআল্লাহ্
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইলো
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু