পিরোজপুরে শহরের সংখ্যালঘু ঠিকাদার উৎপল কুমার সাহাকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজীদ হোসেনকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহত ঠিকাদার উৎপল কুমার সাহা (৩৪) পিরোজপুর পৌর সভার রাজারহাট এলাকার উত্তম কুমার সাহা’র পুত্র।
মামলায় অন্য আসামীরা হলো পিরোজপুর পৌর সভার কুমারখালী এলাকার সলেমান মিস্ত্রীল পুত্র মো: লাবু (২৭), পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ডের পুরাতন সিকদার বাড়ী এলাকার রুস্তুম হাওলাদারের পুত্র মো: রাজু হাওলাদার (৩০), খুমরিয়া কলেজ রোড এলাকার বাহাদুর হোসেনের পুত্র মো: সাগর ওরফে ভোম সাগর (৩০) , ধুপপাশা এলাকার আনোয়ার তালুকদারের পুত্র শাহীন তালুকদার (২৯), পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ডের পুরাতন সিকদার বাড়ী এলাকার আ: মালেক সিকদারের পুত্র মনির সিকদার(৩৫), মধ্যরাস্তা এলাকার খুসবুল আলম (খুসু) শেখ এর পুত্র জনি সেখ (৩২)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত উৎপল কুমার সাহা মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার। বর্তমানে গণপূর্ত বিভাগের অধীন ইন্দুরকানী উপজেলা থানা ভবন সহ ৭ টি কাজ চলমান রয়েছে। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিধায় তার উপর হামলাকারীরা কয়েকদিন ধরে কার ঠিকাদারী কাজ না করার জন্য নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মে-২০২০ সোমবার রাতে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্যেশে শহরের উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় উপর তার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে এবং তার কাছে থাকা দুই লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে গুরুতর আহতবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহতাবস্থায় পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ দিকে ঠিকাদার উৎপল কুমার সাহার উপর এহেন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্য সকল ঠিকাদাররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ঠিকাদারা অভিযোগ করে জানান, একটি চক্র অবৈধ্য ভাবে ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে দীর্ঘদিন যাবত সাধারণ ঠিকাদারদের নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে। সেই চক্রটিই সংখ্যালঘু ঠিকাদার উৎপল কুমার সাহাকে কুপিয়ে জখম করেছে। এ ঘটনায় যদি বিচার না হয় তাহলে অন্য ঠিকাদাররাও নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে।