গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাত দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তবে এ দুই সিটিতে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে আরও তিন সিটিতে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ভোটের পরিকল্পনা করছে ইসি। মঙ্গলবার ইসি কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে দুই সিটিতে সেনা, নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে ভোটগ্রহণ, ইভিএমে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বাতিল, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদকে প্রত্যাহারসহ কয়েক দফা দাবি জানায় বিএনপি।বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এর আগে ৮ এপ্রিল সেনা মোতায়েন নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। ওই দিন এক বৈঠক শেষে সিইসি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, অতীতে সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন হতে পারে। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত। তবে স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন আমরা একেবারেই চাই না। বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে না ইসি। এখন পর্যন্ত এমন কোনো পরিকল্পনাও নেই ইসির। আর গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারসহ অন্য বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।