সাতক্ষীরার নলতা শরীফে অবস্থিত হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর দরবার শরীফের সর্বজন শ্রদ্ধেয় খাদেম সাহেবহজরত আনছারউদ্দীন আহমদ (র.) ছিলেন একজন আদর্শ অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।গত ৭ জুলাই ৮৫ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘ জীবন তিনি মানবসেবায় কাটিয়েছেন। আহ্ছানিয়া মিশনের এই অভিভাবককারো কাছে খাদেম ভাইজান, কারো কাছে খাদেম মামা, কারো কাছে খাদেম দাদু সম্বোধনে অভিসিক্ত। হজরত মৌলভী আনছারউদ্দীন আহমদ (র.) মানেই পাদুকাবিহীন পায়ের শ্বেত-শুভ্র এক কর্মতৎপর সাধকের প্রতিচ্ছবি।শৈশবেই তিনি ব্যক্তিগত প্রত্যাশা-প্রাপ্তির সকল মোহ ত্যাগ করে পীর কেবলা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র সান্নিধ্যে আসেন। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উৎসর্গ করেছিলেন।
আনছারউদ্দীন আহমদ (র.) ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি নলতা শরীফের অদূরে পাইকাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম চৌধুরী মো. এজাহার হোসেন। মায়ের নাম জোহরাতুন্নেছা। অভিজাত বিত্তশালী পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে আদর যত্নেই বেড়ে উঠছিলেন তিনি। খুব অল্প বয়সেই মাকে হারিয়ে তাঁর উচ্ছ¡ল মনের গহনে বেজে ওঠে বিষাদের উদাসী সুর। নানা ছিলেন ব্রিটিশ আমলের তেজস্বী পুলিশ অফিসার, শৈশবে নানার চারিত্রিক প্রভাবে প্রভাবিত ছিলেন। ছেলেবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন আনছারউদ্দীন আহমদ। অংকে পেতেন এক’শো। কিন্তু দশম শ্রেণিতে ওঠার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। মাঝে মাঝে হারিয়ে যেতেন নিজের চিন্তার রাজ্যে। ভালোবাসতেন ফুটবল খেলা, সুফিসঙ্গ আর ভক্তিগজলের আসর।
১৯৩০ এর দশকে জন্মভ‚মিতে প্রত্যাবর্তণের পর থেকে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)প্রায়শই বিভিন্ন ভক্তবৃন্দের বাসায় অনুরাগী-অনুগামীদের সাথে নিয়ে মিলাদ শরীফ পড়তে যেতেন। আনছারউদ্দীন আহমদের পিতা চৌধুরী এজাহার হোসেন সাহেবেও ছিলেন খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর বিশেষ অনুরাগী ভক্ত। এ বাসায়ও মাঝে মাঝে মিলাদ শরীফের আয়োজন হতো এবং খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর পদধুলি পড়তো। তখন থেকেই শিশু আনছারউদ্দীনকে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশেষ ¯েœহ করতেন। পরম স্নেহাস্পদ আনছারউদ্দীন বালক বয়সে নিজ বাড়িতে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আগমনে অজুর পানি, তোয়ালে ইত্যাদি নিয়ে অপেক্ষা করতেন এবং তাঁর সান্নিধ্যে পবিত্রতা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতেন। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) একবার এজাহার হোসেন সাহেবকে বলেছিলেন- ‘তোমার ছেলেটিকে আমাকে দিয়ে দাও।’ এই আবদারবিনা বাক্যব্যয়ে লুফে নিয়ে এজাহার হোসেন সাহেব বলেছিলেন-‘আপনি গ্রহণ করে আমাকে ধন্য করুন।’
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা আনছারউদ্দিন আহমদকে অত্যন্ত পছন্দ করতেন এবং সর্বদাই নিজের কাছে পেতে চাইতেন। কখনো পত্র মারফত, কখনো দূত মারফত আনছারউদ্দিন আহমদকে ডেকে পাঠাতেন। ১৯৫৯ সালে এক চিঠিতে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা আনছারউদ্দীন আহমদকে লেখেন, ‘পরম দরদী দাদু আনছার, প্রত্যহ তোমাকে প্রতীক্ষা করি এবং প্রত্যহ হতাশ হই। এখানে কর্মী লোকের বিশেষ অভাব, তাই তোমাকে হামেশা আমার কাছে চাই…। দাদু! তোমাকে জনৈক ভলেনটিয়ার সাজিতে হইবে এবং পুণ্য অনুষ্ঠানের কাজকর্মের তত্ত্বাবধান করিতে হইবে।’ স্নেহপিপাসু আনছারউদ্দিন আহমদও তাঁর সমস্ত হৃদয় উজাড় করে প্রশান্তির অমোঘ টানে ছুটে আসতেন নলতায়। ১৯৬০ সালে আকেটি চিঠিতে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা আনছারউদ্দিন আহমদকে লেখেন, ‘দু’নয়নের জ্যোতি কবি আমার, তোমার কবিত্ব আমার শক্ত অন্তরকে একদম বিগলিত করে দেয়। ঐ হাসি মুখখানি শয়নে স্বপনে মনে পড়ে। কত ইচ্ছা হয় দুই লোকমা বাবার মুখে তুলে দিই, আর ধন্য হই। তুমি বালক হয়ে এতাধিক মহব্বত এই গরীবের জন্য পোষণ কর, সেজন্য আমি কত গর্বিত। ইচ্ছা হয় বুকখানি বিছিয়ে দিই তোমার জন্য। কিন্তু নিষ্ঠুর তুমি, কখনো কোল দিতে চাও না।’ ভালোবাসা আর অনুরাগের অক্ষরে লেখা এমন অনেক সুধালিপির মাধ্যমে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা আনছারউদ্দিন আহমদের অন্তরে মহব্বতের বীজ বুনে দিতেন।
ষাটের দশকের একবারে শুরুর দিকে আনছারউদ্দীন নিজের বাড়িঘর ছেড়ে সার্বক্ষণিকভাবে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি তখন টগবগে যুবক। জমিদারতনয়ের চোখে তখন অনাগত অনন্ত স্বপ্ন আর নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার বহুমুখী প্রচেষ্টা। সব ছেড়ে ছুড়ে তিনি একেবারে নলতায় চলে আসেন। তারপর তিনি আর নিজ গ্রামে ফিরে যান নি, নলতা শরীফ ছেড়ে কোথাও থাকেন নি। ধ্যান-জ্ঞান-মন সব এক করে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার নিত্যসঙ্গী হয়েছিলেন। দূরের সফরে হতেন সফরসঙ্গী, সাত-সকালে হতেন ব্যক্তিগত পত্রলেখক, গোসল-আহার-প্রার্থনা, চেতন-অবচেতন-ঐশীভাবনার সার্বক্ষণিক সহচর্যে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে নিবেদন করেছিলেন।
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা একদিন আনছারউদ্দীন আহমদকে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘সবাই তো এটা হতে চায়, ওটা চায়, তুমি কী হতে চাও? তোমার লক্ষ্য কী? নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করে বিনয়ী কণ্ঠে আনছারউদ্দীন উত্তর দিলেন- ‘আমি কি জানি! প্রশ্নকর্তাই প্রশ্নের উত্তর ভালো জানেন।’ অল্প দিনেই ভালোবাসার এমন পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছিলেন যে, ১৯৬৫ সালে ইন্তেকালের আগে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা যুবক আনছারউদ্দীনকে দরবার শরীফের খাদেম সাহেব নিযুক্ত করেন। তখন থেকেই নগ্ন পদে, একবস্ত্রে, একাহারী এই সাধক সারাটি জীবন আহ্ছানিয়া মিশনে কাটিয়ে দিয়েছেন। অকৃতদার মানুষটি রোজাব্রত কাটিয়েছেন জীবনভর।
১৯৬৫ সালে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর ইন্তেকালের পরে দরবার শরীফ ও নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের গুরু দ্বায়িত্ব আসে তাঁর ওপর। তিনি নলতা শরীফে হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর সুদৃশ্য পাক রওজা শরীফ নির্মাণের কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে শেষ করেন। রওজা শরীফের চারপাশে এমনভাবে সুদৃশ্য বাগান তৈরী করেন যেন আকাশের নির্মল সামিয়ানার নীচে বিস্তৃর্ণ ফুলের চাদর। তিনি পুরো এলাকাটিকে একটি পরিকল্পিত গোছানো কমপ্লেক্সে পরিণত করেন। ধর্মীয় আবহে, ফুলের সুবাসে, স্রষ্টার এবাদতে, সৃষ্টের সেবায় পুরো এলাকাটি পবিত্রতায় স্নিগ্ধতায় হয়ে ওঠে।
অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনি নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনকে অনন্য উচ্চতায় স্থাপন করেছেন। মিশনের আদর্শ ‘স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ প্রতিপালনে তিনি একজন অনুকরণীয় আদর্শ, আহ্ছানিয়া সভ্যতার প্রতিচ্ছবি। ১৯৬৫ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত অর্ধশতাব্দিকালেরও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় মিশন সুনিপুণ হাতে পরিচালনা করছেন। তাঁর অতিথিপরায়ণতা আর ভ‚বনভোলানো আপ্যায়ণগুণ সর্বজনবিদিত। মানুষকে খাওয়াতে ভালোবাসেন, তৃপ্ত হন। অসম্ভব পরিশ্রমী মানুষটি সময়ানুবর্তিতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি বিশ্বাস করেন এবং প্রায়শই বলেন- ‘সময় ও সুযোগ করুণাময়ের দান। সময় ও সুযোগকে যে অবহেলা করে- সময় ও সুযোগ দেয় তাকে অভিশাপ।’ তিনি মানুষের কাছে এই বলে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন- ‘দোয়া করিবেন যেন সকল মোহ জয় করিয়া সকলের পদসেবাতে আত্মনিয়োগ করিতে পারি।’
মৌলভী আনছারউদ্দীন আহমদ শিক্ষানুরাগী মানুষ। নলতার প্রথম প্রি-ক্যাডেট স্কুল ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের জমিদাতা তিনি। নলতা শরীফের প্রথম উচ্চ শিক্ষা কেন্দ্র ‘নলতা আহ্ছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। নলতা দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, নলতা হাফিজিয়া মাদ্রাসাও তাঁরই প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকার উত্তরায় তাঁরই উদ্যোগে নলতা শরীফ আহ্ছানিয়া মিশন এতিমখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি মিশনের মাধ্যমে ‘আহ্ছানিয়া মিশন শিক্ষা পরিষদ’ গঠন করে নলতা শরীফ ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অসংখ্য শিক্ষার্থীর বৃত্তির ব্যবস্থা করেন। সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ চক্ষু হাসপাতাল ‘আহ্ছানিয়া মিশন চক্ষু এন্ড জেনারেল হাসপাতাল’ এর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাঁরই সমন্বয়ে নলতা শরীফে রমজান মাসব্যাপী দেশের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম ইফতার আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এসকল কাজ তিনি করেছেন নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের মাধ্যমে।
হজরত আনছারউদ্দিন আহমদ ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউট’-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এবং আহ্ছানিয়া মিশনের আদর্শ ও দর্শন বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। মিশন প্রতিষ্ঠাতার ইন্তেকালের একযুগের মধ্যে তিনি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা লিখিত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গ্রন্থাবলী সংগ্রহ করেছিলেন। দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে সেমিনার সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করেছিলেন।
মানবসেবাই আনছারউদ্দীন আহমদের জীবনসাধনা। হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর ‘সত্যতা, পবিত্রতা ও প্রেমিকতা’ দর্শনের অবিকল প্রতিচ্ছবি তিনি। তিনি আহ্ছানিয়া মিশনের আদর্শ বাস্তবায়নের পথিকৃত। নিরবে নিভৃতে তিনি মানুষের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করেছেন। তাঁর পিতৃপদত্ত ‘আনছারউদ্দিন’ নামটি সার্থকতা তিনি প্রমান করেছেন। আনছার অর্থ সেবক, খাদেম, সাহায্যকারী। হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর পরশে তিনি সত্যিকারের খাদেম হয়ে ওঠেন, হয়ে ওঠেন মানুষের খাদেম, ধর্মের খাদেম, দরবারের খাদেম, মিশনের খাদেম। তিনি দিনভর মানুষের রোগ-শোক-দুঃখের কথা শুনতেন অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে, চেষ্টা করতেন কষ্ট লাঘবের। তিনি অত্যন্ত ধর্মপরায়ন ও অধ্যাত্ম সাধক, একান্তে নির্জনে প্রার্থনা করতেন। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর পবিত্র পরশ, নিমগ্ন এবাদত এবং অধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি উচ্চতর আসনে আসীন হয়েছিলেন। নলতা শরীফে আগত অতিথিদের কষ্ট লাঘবে তিনি শাহীবাগজুড়ে অত্যাধুনিক সব ভবন নির্মাণ করেছেন কিন্তু বছরের পর বছর রাত কাটিয়েছেন রওজা শরীফের অদূরে জীর্ণ কুঠিরে। তিনি মানুষকে দিনভর নিজ হাতে মানুষকে খাওয়াতেন কিন্তু নিজে থাকতেন অভুক্ত। তিনি কর্মতৎপরতা ভালোবাসতেন, নিয়মানুবর্তিতা ভালোবাসতেন, ভালোবাসতেনশিশুসঙ্গ । মেধাবী শিক্ষার্থীদের কোলে তুলে আদর করতেন, প্রথম সাক্ষাতেই তাদের লেখাপড়ার খবরনিতেন, সহায়তা করতেন, তরুনদের মাঝে সততায় মোড়ানো প্রত্যাশার স্বপ্নবীজ বুনে দিতেন। তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেন, নিয়ম করে কোরআন তেলোয়াত ও পবিত্র গ্রন্থসমূহের পাঠ শুনতেন। তিনিপ্রত্যহ প্রভাতে অনুসারীদের কাছে নির্দেশনামূলক পত্র লিখতেন। লেখক ও সাহিত্যিক ও গুণী মানূষদের সমাদর করতেন।
আপন সাধনার পথে তিনি বিশ্বাস করতেন-‘অন্ধত্ব, বধিরত্ব, ঋষিত্ব।’ অন্ধত্ব ও বধিরত্বে মাধ্যমে মোহমায়া কাটিয়ে তিনি ঋষিত্বের সোপান খুঁজতে বলেছেন। মানবহিতৈষী নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষটি দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন। ত্যাগে, সততায়, সাধুতায়, সাধনায় তাঁর জীবন, সে জীবন সবার কাছে অনুকরণীয় আদর্শ।
মো. মনিরুল ইসলাম
পরিচালক
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইনস্টিটিউট