স্টাফ রিপোর্টারঃ বৃহস্পতিবার( ৭ আগষ্ট) দিবাগত রাতে থানার উপ-পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক ফেরদৌস আনামের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটককৃত নুরুল ইসলাম উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বন্দকাটি এলাকার আরশাদ আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী বন্দকাটি এলাকার মৃত দাউদ মোড়লের ছেলে প্রতিবন্ধী ময়না মোড়ল (৬২) জানান, বন্দকাটি মৌজা তার ০.২৫ একর খরিদ ও ভোগ দখলীয় বিলান জমি রয়েছে। তিনি ওই জমিতে দীর্ঘদিন যাবৎ চাষাবাদ করে আসছেন। ওই জমিতে চাষাবাদ করতে হলে তাকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায় নুরুল ইসলাম। ভুক্তভোগী ময়না মোড়ল বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিনকে অবহিত করেন। ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয়কে ডাকেন কিন্তু চেয়ারম্যানের সামনেও নুরু টাকা দাবি করেন। পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন জানান, নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ। সে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এসিড নিক্ষেপ, হত্যাসহ তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। দেশে বিভিন্ন অপকর্ম করে নুরু ডাকাত অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। সে ভারতের নাগরিক। মাঝে মাঝে বাংলাদেশে এসে ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আবার ভারতে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম জানান, আসামি নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার নামে জেলায় বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শুক্রবার আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।