মোঃ ফিরোজ হোসাইন :নওগাঁর আত্রাইয়ে বিভিন্ন গ্রামে চলছে মাছ শিকারের ধুম। দেশে কয়েক দফার বন্যায় বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর ডুবে গেছে। আবাদ করা মাছগুলো এতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় বিভিন্ন জায়গায়। এতে করে মৎস্যচাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অপরদিকে করোনার কারণে অধিকাংশ মানুষের দৈনন্দিন কোন কাজ নেই। এ বেকার সময়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আত্রাই উপজেলার মানুষেরা। ফলে সৌখিন ও মৌসুমী মাছ শিকারীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে নদ, নদী, খাল,বিল ও জলাশয়গুলো। বিভিন্ন ব্রিজ, কালভার্ট ও স্রোতের মুখেও মাছ শিকারীরা তৌরাজাল বা খড়াজাল নিয়ে উৎপেতে রয়েছেন। অনেকে এ মাছ বিক্রি করে দৈনন্দিন চাহিদাও মেটাচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজনকে তৌরাজাল বা খড়াজাল, বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায়। বর্ষার পানিতে মাছ শিকারে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাগুলোতে। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দেখাও মিলছে। স্ব স্ব এলাকার তরুণ, যুবক, প্রবীণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও মাছ শিকারে মেতে উঠেছেন।
আত্রাই উপজেলার ৮ নং হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের ৫ নংওয়ার্ড দ্বিপ্চাদপুর গ্রামের মোঃ ফরহাদ আমিন ও হাফিজুল ইসলাম বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় আপাতত বড়শি ও তৌরা জাল দিয়ে মাছ শিকার করে দিন কেটে যাচ্ছে। বন্যার কারণে ডোবায় নালায় বিভিন্ন মাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। আর আমরা এ মাছগুলো ফাঁদ দিয়ে ধরতে পারি এবং আমাদের পুষ্টির চাহিদাও মিটছে। মাছ ধরার আনন্দও অন্য রকম। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, করোনায় মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎস কমে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ মানুষ বর্ষার নতুন পানিতে মাছ শিকারে নেমেছেন। এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা কালকাপুর ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন জানান । বন্যার পানি বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশ করার কারণে এখন সব জায়গায় কম বেশি মাছ শিকার করা যাচ্ছে।