নিহত সম্রাট (১৭) চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বড়দুধপাতিলা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটের সু মেলার কর্মচারী। নিহত সম্রাট তার মাকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছে।
এলাকাবাসীর দাবী খোলা রেল গেটের গেটকিপারের উদাসিনতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই গেটকিপার পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে খুলনা থেকে পার্বতীপুরগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়া খোলা লেভেলক্রসিং অতিক্রম করছিলো। এ সময় সম্রাট নামের ওই যুবক খোলা রেললাইন দিয়ে পার হওয়ার সময় আন্তঃনগর শীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের নীচে পড়ে সম্রাটের শরীর দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়।
নিহত সম্রাটের মা জীবন্নারা জানান, সম্রাট চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটের সু মেলা নামের একটি জুতার দোকানে কাজ করে। দোকানের কাজ শেষে প্রায় সে অনেক রাতে বাড়ীতে ফেরে। শনিবার রাতে সম্রাট দোকানের কাজ শেষে বাড়ী ফিরছিলো। এলাকাবাসীর নিকট খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান।
এদিকে, এলাকাবাসীর অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ফার্মপাড়ার খোলা রেলক্রসিংয়ে দ্বায়িত্বরত গেটম্যান ঠিকমতো তার দ্বায়িত্ব পালন না করে বেশীরভাগ সময় তার কক্ষে ঘুমিয়ে থাকে। শনিবার রাতে যখন আন্তঃনগর শীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফার্মপাড়ার রেলগেট অতিক্রম করছিলো ওই সময় দ্বায়িত্বে থাকা গেটম্যান তার কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে এমন সংবাদ শেনামাত্র গেটম্যান গোপণে সটকে পড়েন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার টহলরত পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলেও রেলওয়ের কোন পুলিশকে সেখানে দেখা যায় নি। আজ রোববার সকালে রেলওয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।