লিয়াকত :রাজশাহী পবা উপজেলার দর্শন পাড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বিলনেপাল পাড়া গ্রামের মৃত জয়েন উদ্দিনের প্রতিবন্ধী ছেলে মোঃ আকবর আলীর সারে ৩ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল এবং আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হামলা ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় একই এলাকার মৃত, সাদেক আলীর ছেলে আফসার আলী, কামরুজ্জামান, হাসিবুর, ও হামিদ আলির বিরুদ্ধে কর্ণহার থানা বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন প্রতিবন্ধী মোঃ আকবর আলী।
মোঃ আকবর আলী তার লিখিত অভিযোগে জানান, আফসার আলী, কামরুজ্জামান, হাসিবুর, ও হামিদ আলি এলাকায় দাঙ্গাবাজ ও ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোক।
প্রভাবশালী বলে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন মুখ খুলেনা বা প্রতিবাদ করে না। তারা আইন কানুনের কোর্টের রায় কে তোয়াক্কা করে না।
বিবাদীদের সাথে আমার পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জে এল নং-৯, খতিয়ান নং-১৯৫/২৬১, দাগ নং- ৬২০ ও ১৪৫ এর সারে ৩ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ দিন বিবাদ চলে আসছে।
তারা বিগত ৮ নভেম্বর উপরোক্ত তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে জমির মাটি কেটে জমির আকৃিত নষ্ট করে এবং আমার বসত বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালায়।
আমি তাদের বাধা দিলে তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমি স্থানীয় মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তাদের কথায় বিবাদীরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করে। কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় জমিতে অবৈধ প্রবেশ করে জোর পূর্বক বাথরুম ও ঘরের টিনের চাল ভাংচুর করে উপরে ফেলে দিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।
আমি উপায় না দেখে বিষয়টি কর্ণহার থানায় অভিযোগ করলে থানা কর্তৃপকক্ষ তফসিল বর্নিত জমি পরিদর্শন করে এবং উভয় পক্ষকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে শালিস মীমাংসার দিন ধার্য্য করে দেন। কিন্তু বিবাদীরা থানার আদেশ অমান্য করে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যহত রাখে এবং জমিতে মাটি কেটে আকৃতি নষ্ট করাসহ ঘর বাড়ি ভাংচুর মত জঘন্যতম কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মর্তুজা ও এলাকার একাধিক বাসিন্দারা বলেন বিবাদীগণ এর আগেও বহু বার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে। এলাকার একাধিক ব্যাক্তি বলেন আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান ও বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে, অভিযুক্ত আফসার আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি বাড়ি ঘর ভাংচুর ও সকল বিষয় অস্বীকার করে বলেন ওটা আমার বাপদাদার সম্পত্তি আমার জমিতে আমি যেতেই পারি।
এ বিষয়ে কর্ণহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তুহিন বলেন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধের জের ধরে এর আগেও হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে মুনতাজ আলির স্ত্রী মেহার নেগার নামে এক মহিলার হাতে মারাত্মক জখম হয়ে আহত হয়ে ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।