সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন তফসিল ঘোষনা না হলেও সাতক্ষীরায় প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনি মাঠ। নির্বাচন সামনে রেখে মেয়র পদে প্রার্থিতার ইচ্ছা প্রকাশ করে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমেছেন। ব্যানার-ফেস্টুনের পাশাপাশি স্থানীয় পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন অনেক প্রার্থী। পৌর এলাকায় জনসংযোগ শুরু করেছেন কেউ কেউ। তবে অনেক প্রার্থীরা এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতার লক্ষ্যে তৎপর হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা। সব মিলিয়ে আলোচনায় রয়েছেন সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী। এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, বর্তমান পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির সাবেক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাসকিন আহমেদ চিশতী, প্রয়াত পৌরসভা চেয়ারম্যান শেখ আশরাফুল হকের ছেলে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ নাসেরুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, পৌর কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোন্সা আরা, জেলা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এজাজ আহমেদ স্বপন, জেলা পরিষদ সদস্য আমিনুর রহমান বাবুর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে অনেক প্রার্থীরা এখনও এ বিষয়ে কোন কথা বলছেন না।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে নতুন করে আলোচনায় রয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ নাসেরুল হক তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেই নির্বাচনে অংশ নেব। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নেই। প্রয়োজনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে মাঠে থেকে কাজ করব।সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি নেতা ও বর্তমান মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতী গত নির্বাচনে প্রথমবারের মত মেয়র নির্বাচিত হন। বিএনপি নেতা কর্মীরা বলছেন, আগামী নির্বাচনে আবারও প্রার্থিতার ইচ্ছা পোষণ করে প্রচারণায়ও নেমেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে জানতে তার সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাসিম ফারুক খান মিঠু বলেন, আমি গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছি। আধুনিক সাতক্ষীরা পৌরসভা গড়তে এবারও আমি সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেব। ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছি। আমি বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নেই।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির হয়ে আমি গত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে স্থানীয় নেতা কর্মীদের চাপ আছে। তবে আমি এ বিষয়ে এখনও কোন সীদ্ধান্ত নেইনি। দলীয় হাইকমান্ড থেকে নির্দেশনা আসলে দলের সার্থে প্রার্থী হতে পারি। নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর জ্যোন্সা আরা বলেন, আমি মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। না পেলে আবারও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করব। এ বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু বলেন, আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। দল যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে নির্বাচনে অংশ নেব।
সূত্র: মানুষের কল্যাণে প্রতিদিন