আজ ২৮ মে ২০১৮ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের আরবান প্রাইমারি হেলথ্ কেয়ার ডেলিভারি সার্ভিসেস প্রকল্প কুমিল্লা “তামাকের কর বৃদ্ধির দাবির প্রতি চিকিৎসক ও এনজিও সমূহের সংহতি প্রকাশ” কর্মসূচির আয়োজন করে। কুমিল্লার সিভিল সার্জন অফিসের সামনে সংহতি প্রকাশ কর্মসূচিতে চিকিৎসক, অন্যান্য পেশাজীবি, গণমাধ্যম কর্মী এবং বেসরকারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে এই দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন। কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সিগারেটের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪টি মূল্যস্তর (নিম্ন-দেশীয়, নিম্ন-আন্তর্জাতিক, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) বিলুপ্ত করে ২টি মূল্যস্তর (নিম্ন ও উচ্চ) নির্ধারণ, বিড়ির ক্ষেত্রে ফিল্টার এবং নন-ফিল্টার বিভাজন বিলুপ্ত করে এবং গুল-জর্দার ক্ষেত্রে এক্স-ফ্যাক্টরি প্রথা প্রভৃতি বাতিল করে সকল তামাকপণ্যের প্যাকেট/কৌটা প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পেসিফিক এক্সাইজ ট্যাক্স আরোপের দাবী জানানো হয়। এ ছাড়াও তামাকের ওপর আরোপিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২ শতাংশ নির্ধারণ ও অবিলম্বে তামাকের বিদ্যমান শুল্ক-কাঠামোর পরিবর্তে কার্যকর তামাক শুল্কনীতি প্রণয়ণেরও দাবী জানানো হয়।
কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান, উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কুমিল্লা মোঃ মাহবুবুল করিম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহাদৎ হোসেন, ক্লিনিক ম্যানেজার নগর মাতৃসদন ডাঃ এবিএম জুবায়ের, সূর্যের হাসির ক্লিনিক ম্যানেজার কাজী ইকরাম হোসেন, মেরীস্টপ ক্লিনিকের সিনিয়র ক্লিনিক ম্যানেজার মোঃ মনিরুজ্জামান, এফপিএবির জেলা কর্মকর্তা মোঃ আত্তাব উদ্দীন এবং আরবান প্রাইমারি হেলথ্ কেয়ার ডেলিভারি সার্ভিসেস প্রকল্প, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ মোশাররফ হোসেন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের পথে বড় বাধা। আমাদের দেশে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অন্যতম কারণ তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার। গ্লোবাল এডাল্ট টোবাকো সার্ভের ২০০৯-এর তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে ৪৩% মানুষ তামাক সেবন করে। তামাতকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশে এক লক্ষ মানুষ মারা যায় এবং ৩,৮২,০০০ পঙ্গুত্ব বরণ করে। তাই তামাকের ক্ষতি রোধ করা খুব জরুরি। বাংলাদেশে দিনে দিনে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তামাক নিয়ন্ত্রণ-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে তামাকের ওপর উচ্চ হারে করবৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের মূল্য বৃদ্ধি করা এবং তাহলে এটা জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকবে। এ উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন তামাকজাত দ্রব্যের করবৃদ্ধির দাবিতে “চাইলে উন্নয়ন জনস্বাস্থ্যের চাইলে দেশের সমৃদ্ধি করতে হবে তামাকজাত দ্রব্যের করবৃদ্ধি’’ এই স্লোগানে সংহতি প্রকাশ কর্মসূচির আয়োজন করে।