ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠিতে মুক্তিযোদ্ধাকে মানহানীকর সংবাদ পরিবেশন, হুমকি, বিনাঅনুমতিতে ঘরে প্রবেশ, ক্যামেরা ধরে ভয়ভীতি দেখানো, অর্থ আদায়ের চেষ্টা ও মুক্তিযোদ্ধাদের খাট করার অপচেষ্টাকারী আক্কাস-সবুজ গং ও তাদের এক সহযোগীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।ঝালকাঠি সদর উপজেলার নেহালপুর নিবাসী মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে এ অভিযোগ উত্থাপন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সদয় অনুরোধ করেছে বলে জানা গেছে। ঝালকাঠি থানা ওসি মোঃ খলিলুর রহমান গত ২২ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারীর অভিযোগ পাওয়া কথা স্বীকার করেন, তবে ২৪ঘন্টা অতিবাহিত হলেও তা রেকর্ড করা হয়নি বলে জানা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারী তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিবাদী ঝালকাঠির পশ্চিম চাঁদকাঠী এলাকার মৃতঃ দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মোঃ আক্কাস সিকদার, নলছিটি শিতলপাড়া এলাকার আমজেদ আলী খানের পুত্র মোঃ সবুর খান ওরফে কে.এম. সবুজ ও সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের বাবুল মিরার পুত্র আসলাম মিরা, বিগত ১৯ ডিসেম্বর দুপুর আনুমান দেড়টার দিকে হঠাৎ তার বসত ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে।বিবাদী আক্কাস-সবুজ গং আসলাম মিরার টাকার বিনিময় তাকে হয়রানী ও হেয় প্রতিপন্ন করতে তার সম্মুখে ক্যামেরা ধরে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খাট করতে বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্নকরে।
তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, বিবাদী আসলাম মিরা মুক্তিযোদ্ধার মানষিক প্রতিবন্ধী ছোট ভাই আব্দুল ছত্তার দুয়ারীকে ১শ টাকা দিয়ে আক্কাস-সবুজ গংয়ের ক্যামেরার সামনে তাদের শেখানো মিথ্যা-বানোয়ট কথা বলিয়ে রেকর্ড করায়। এরপর আক্কাস-সবুজ গং তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে কালিমা লেপন করার লক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে মানহানীকর সংবাদ পরিবেশন করে। তার মনে হয়েছে সে যদি আক্কাস-সবুজ গংকে কিছু টাকা পয়সা দিতো তাহলে তারা তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতোনা।
এছাড়াও বিবাদী আসলাম মিরা মাঝে মাঝে মুক্তিযোদ্ধা সুলতান দুয়ারীকে ডিসির ভয় দেখাতো ও আক্কাস-সবুজগংয়ের প্ররোচনায় আমার মুক্তিযোদ্ধা সনদ থাকবেনা বলে হুমকি দিয়ে বিভিন্ন সময় এক ১/২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করতো। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা চাঁদা দেওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করেনি দাবী করে ‘বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগতব্যবস্থা গ্রহনসহ কঠিন বিচারের দাবী জানিয়েছেন’।
উল্লেখ্য যে, বিবাদী আক্কাস সিকদারের নামে বিস্ফোরক-হত্যার মামলা বিচারাধীনসহ বহু মামলা ছিল, বিবাদী মোঃ সবুরখান ওরফে কে.এম. সবুজের নামে বিধবা মামির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা আছে ও বিবাদী আসলাম মিরার নামে স্ত্রীর দায়ের করা মামলা বিচারাধীন আছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। ঝালকাঠি প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হোসেন দুয়ারীর প্রদানকৃত লিখিত অভিযোগের কপি স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠন, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, জেলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তা-সদস্যবৃন্ধ ও প্রধান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।