উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলে বেপরোয়া প্রাইভেটকারের ধাক্কায় আহত মোটরসাইকেল চালক কলেজছাত্র রাতুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আহত রাতুলের চাচা জাকির হোসেন জানান, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে নড়াইল-যশোর সড়কের নড়াইল সদর উপজেলার সীতারামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতুল নড়াইলের আব্দুল হাই ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া গ্রামের বেলায়েত হোসেনের একমাত্র ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো গ ১৩-৯৭৩৯) মোটরসাইকেলে সজোরে আঘাত দিলে মোটর সাইকেল চালক রাতুল ও তার সঙ্গী সড়কের উপর ছিটকে পড়ে। মাথা, বুকে ও মুখে মারাত্মক আঘাত লেগে রাতুল গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মোটরসাইকেলের অপর আরোহি আহত রাতুলের বন্ধু সামান্য আহত হয়েছেন। তবে মোটরসাইকেলটি ভেঙ্গে চুর্ন বিচুর্ন হয়ে গেছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তুলারামপুর হাইওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ প্রাইভেটকারটি আটক করতে সক্ষম হলেও চালক আসলাম হোসেন পালিয়ে যান। অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় তার সিটি স্ক্যান ও চিকিৎসার জন্য যশোর নেয়া হয়। নড়াইল ও যশোরের চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চালক আসলাম হোসেন ওই দিন নড়াইল সরকারি ভিাক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক মাহমুদাকে নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। প্রাইভেট কারটি রেন্ট-এ কারের। আহত রাতুলের চাচা জাকির হোসেন ক্ষোভের সাথে জানান, চালক আসলাম বা প্রাইভেট কারের মালিক আহত রাতুলের কোন খোঁজ খবর নেননি। এতে করে রাতুলের স্বজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইন চার্জ নিতী বিকাশ দত্ত বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: