শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। – পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী ভবনের নকশা অনুমোদনে এসটিপি স্থাপনের শর্ত আরোপ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী  নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে” –মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মাজহারুল ইসলাম বিপিএম কালিগঞ্জের পল্লীতে প্রবাসীর জমি থেকে বৃক্ষ নিধনের অভিযোগ উঠেছে  বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা ও অন্য সদস্যদের প্রত্যাবাসন যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে- ফরিদপুরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

বাগমারায় সকল প্রশাসন ম্যানেজ করে পুকুর খনন কারী কে এই জাফর মাস্টার

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ১০.২৩ এএম
  • ২২০ বার পঠিত
লিয়াকাত: রাজশাহী বাগমারায় দলিও প্রভাব খাটিয়ে এবং এমপি মেয়রের আত্মীয় পরিচয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে এমপি ও মেয়রের জামাই পরিচয়দানকারী নয়ন অপরদিকে দলিও প্রভাব ও প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে কৃষি জমি ও উঁচা ভিটা কেটে নিজ ভাটায় মাটি পরিবহন করছে এই জাফর মাস্টার। এ যেন পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে সম্পূর্ণ বাগমারা উপজেলা জুড়ে।
এসব ভূমিদস্যু ও ফসলি জমি নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আর এসব অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ দিলেও হচ্ছে না কোনো প্রতিকার। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমির প্রকৃতি পরিবর্তন ও মাটি পরিবহন করছে বিভিন্ন ভাটায়।

এ বিষয়ে জাফর মাস্টারের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, আমি সকল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কাজ করছি আপনি যা পারেন করেন।

কৃষিজমির প্রকৃতি পরিবর্তন করে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে এতে যেমন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে অপরদিকে চাষিরা পরছে হুমকির মুখে। সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে এর সত্যতা মিলেছে। উপজেলার সিবজাইট পশ্চিম বাগমারার প্রানকেন্দ্র হাটগাঙ্গোপাড়া,আউচপাড়া,শুভডাঙ্গা, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় জমির প্রকৃতি পরিবর্তনের দৃশ্য দেখা গেছে। কৃষিজমির প্রকৃতি পরিবর্তন করে এখন জলাশয় করা হয়েছে। জলাশয়ের চারপাশে রয়েছে উঁচু পাড়। এ ছাড়া এসব এলাকার কৃষিজমিতে খননযন্ত্র বসিয়ে এখনো পুকুর খনন করা হচ্ছে। অথচ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ রয়েছে, জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না। নীতিমালা জারির পর থেকে কৃষিজমির প্রকৃতি পরিবর্তন করে এসকল এলাকায় প্রায় ২০টি পুকুর খনন করা হয়েছে এবং আরও ৬টি পুকুর খননকাজ অবাধে চলমান রয়েছে।

এসকল এলাকার অবৈধ পুকুর খননে চলমান কাজগুলো হল, আউচপাড়া ইউনিয়নে বেলঘরিয়া সোনাদীঘি বাজার সংলগ্ন ১টি এবং একই ইউনিয়নের মঙ্গলপুর সমাসপুর গ্রামের মাঝখানে ১টি এবং ঐ ইউনিয়নের মুগাইপাড়ার পার্শ্বে বগপাড়া মোড়ের নিচে ১টি ও খুদাপুর গ্রামে আরো ১টি । গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের সালজুর রুহিয়া মাহামতপুর গ্রামে চেয়ারম্যান শ্রী বিজন কুমার এর ভাটার পার্শ্বে ১টি, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নে মচমইল বাজারের হাটগাঙ্গোপাড়া রাস্তা সংলগ্ন ১টি। গত বছরের ১১ জুন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ টি এম আজাহারুল ইসলামের স্বাক্ষর করা নীতিমালা-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, কৃষিজমি যতটুকু সম্ভব রক্ষা করতে হবে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জমির প্রকৃতিগত কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। এই চিঠির অনুলিপি গত বছরের (২২ শে জুলাই) রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পৌঁছায়।

একই সময়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে ওই নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) চিঠির একটি অনুলিপিও পাঠানো হয়েছে বলে উভয় দপ্তরের দায়িত্বশীল দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ইউএনও কে গত ডিসেম্বর ও চলতি মাসে দেওয়া ওই সব এলাকার শতাধিক কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কৃষিজমির প্রকৃতি পরিবর্তন করছেন। অভিযোগে তাঁরা বলেছেন, প্রথমে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্থানীয় কিছু লোকজনের কাছ থেকে কৃষিজমি তিন বা ১০ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে সেখানে পুকুর খনন শুরু করেন। পরে কৌশলে ওই পুকুরের আশপাশের অন্য জমির মালিককেও তাঁদের জমি ইজারা দিতে বাধ্য করেন। এসকল এলাকার নাম প্রকাশে অনিশ্চুক অনেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, তাঁদের জমি প্রথমে দেননি। ইজারা নেওয়া আশপাশের জমিতে ড্রেজার দিয়ে খনন শুরু করা হয়। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তাঁদের জমিও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পুকুর খননের জন্য দিতে হয়।

উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের সালমারা বিলে পানি নিস্কাশনের নাম করে জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন প্রভাবশালী ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করছে। ঐ পুকুরের পার্শ্বেই একটি ড্রামচিমনি ভাটার মালিক শফিক পুকুর খননে সার্বিক সহযোগিতায় আছেন বলে এলাকাবাসি জানান। সেখানে প্রায় ২০টি ট্রাক্টর দিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করে প্রভাবশালীরা ক্ষমতা দেখিয়ে রাস্তায় ধুলামাটি ফেলে জনগন,মিডিয়া,প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে নিজ স্বার্থে ব্যাস্ত এসকল ইটভাটার মালিকারা। ঐ রাস্তায় চলাচলে পথচারিরা বলেন, ঘন কুয়াশায় ঢাঁকা এসব ধুলামাটির মধ্য দিয়েই আমাদের নিত্যদিনের যাতায়াত। শীঘ্রই এর সুব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও পথচারিরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: শরীফ আহম্মেদ জানান, মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী অবৈধ পুকুর খননে জমির শ্রেনি পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, কোন অবৈধভাবে পুকুর খনন করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
  12345
27282930   
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com