ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান কর্তৃক ঢাকা থেকে যাওয়া একদল সাংবাদিকদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও চরম অশোভন আচরনে ক্ষোভ ও দূ:খ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছে সংগঠনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভিডিওচিত্রে দৃশ্যমান সাংবাদিকদের সাথে একজন জনপ্রতিনিধির এরুপ আচরণ গোটা সাংবাদিক সমাজকে লজ্জিত ও ক্ষতবিক্ষত করে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এসব কারনেই গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থস্তম্ভ তা আমরা মানতে নারাজ। গণমাধ্যম এখন আর রাষ্ট্রের কেউ নন। আজকাল সাংবাদিকদের কেউ ইজ্জ্বত দেয়না। এমনকি জনপ্রতিনিধি যারা গরীবের চাল চুরি করে তারাও সাংবাদিকদের নিজ হাতে মারতে পিছপা হয়না। কথায় কথায় সাংবাদিকরা চাকরীচ্যুত। সাংবাদিকতা পেশার মর্যাদা আজ তলানীতে। এ থেকে পরিত্রান জরুরী। তাইতো দেশের সাংবাদিকরা আজ ১৪ দফার আন্দোলনে মাঠে রয়েছে।
ফরিদগঞ্জে সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার পক্ষ জানানো হয়েছে, গত ১৬ মার্চ ৭সদস্যের একটি টিম পত্রিকার প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যে সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি টিম সহ-সম্পাদক মাসুদ কাজীর নিজ জেলা চাঁদপুরে প্রবেশ করেন। সেখানে প্রথমে পুলিশ সুপার কার্যালয়সহ কয়েকটি স্থানে প্রচারনা শেষ করে দুপুরে মাসুদ কাজীর বাড়ি ফরিদগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে তারা চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা শাহনাজের কক্ষে প্রবেশ করে সালাম বিনিময় করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার টেলিফোনে আলাপচারিতার ফাঁকে তার কক্ষে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যান রোমান তাৎক্ষনিক তাদেরকে হলুদ সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে বের হয়ে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে ইউএনও তার চেয়ারম্যান রোমানকে সামলাতে ব্যর্থ হন। দ্রুত রোমান নীচে নেমে টেলিফোনে তার ক্যাডারদের ডেকে এনে সাংবাদিকরা নীচে নামামাত্রই তাদের ওপর অস্ত্রসহ হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি কিল, ঘুষি, লাথি দিয়ে পেটাতে শুরু করে এমনকি গুলি করতেও উদ্যত হন। এসময় দুজন নারী সাংবাদিক প্রান ও ইজ্জ্বত বাঁচাতে থানায় গিয়ে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান।
হামলায় পত্রিকাটির প্রচারণা টিমের প্রধান ও পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সম্পাদক মাসুদ কাজী, আওলাদ হোসেন, মাহবুব আলম, নাসির হোসেন এবং তানজিলা আকতার লাঞ্ছিত ও আহত হন। আহতরা মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে ঢাকায় ফেরেন। সম্পাদক আব্দুল্লাহ মামুন জানিয়েছেন, তার পত্রিকার সহ-সম্পাদক মাসুদ কাজীর আমন্ত্রনে দুদিনের সফরে ফরিদগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন। পথিমধ্যে পত্রিকাটির পরিচিতির জন্য সরকারী অফিসগুলোর কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্য ঢুকছিলেন। এরুপ পরিস্থিতি তাকে রীতিমত লজ্জিত করেছে। যা কখনোই কাম্য ছিলনা। এব্যাপারে তিনি আইনী ব্যবস্থার জন্য বিএমএসএফের সহযোগিতাও কামনা করেন।