♦দূর্ণীতির বিরুদ্ধে কলম ধরবেন? সাংঘাতিক হবেন
♦অনিয়মের বিরুদ্ধে লিখবেন? চাঁদাবাজ হবেন
♦ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন! হুমকি খাবেন
♦ধর্ষকের বিরুদ্ধে লিখবেন? রোষানলে পড়বেন
♦সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে লিখবেন? রাস্তায় পিস্তল ঠেকাবে নয়তো ছেলে মেয়েকে জিম্মি করবে
♦ পতিতার বিরুদ্ধে লিখবেন? ধর্ষণ মামলা খাবেন
♦ এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখবেন? গুম-খুন হবেন। সাথে মামলা বোনাস।
♦ প্রশাসনের বিরুদ্ধে লিখবেন? সরকারী কাজে বাঁধাদানের মিথ্যা অভিযোগে মামলা খাবেন
♦ধর্ম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লিখবেন? ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলায় টুনিসহবাঁশ খেতে পারেন।
♦ টেন্ডার বানিজ্য, শিক্ষা বানিজ্য, মাদক বানিজ্য, যাত্রী হয়রাণী, অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে লিখতে গেলে হুমকি, ভয়ভীতি, হামলা, লাঞ্ছনা, মামলাতো আছেই। বলুনতো সাংবাদিকরা কি লিখবেন? আরও কত কি!!!
আসুন; দেশে আলু পেয়াজে মূল্যহ্রাস। টমেটোয় পচন ধরেছে। পেয়াজে ঝাজ নেই। পানিতে তলিয়ে গেছে দক্ষিনাঞ্চলের তরমুজ ক্ষেত। গরুর খাদ্যের বিকল্প ঘাস চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে উত্তরাঞ্চলের কৃষকরা। পর্যটন এলাকায় পর্যটক শুন্য। পর্যটন কেন্দ্র হয়ে ওঠতে পারে ছৈলারচর ইত্যাদি…..।
এসব সংবাদে কারো সমস্যা হবেনা। জয়ধবনি ওঠবে সাংবাদিকদের। বাহবা পাবে সাংবাদিকরা। এভাবে ১ মাস চললেই রাষ্ট্র তলাবিহীন ঝুঁড়িতে শুন্যকোঁঠায় পৌঁছবে। সাংবাদিকদের কোন দোষ থাকবেনা।
নানা অসঙ্গতি ও চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের অতন্দ্র প্রহরীর মত কাজ করছে কোন বিনিময় ছাড়া।
দূর্ণীতিবাজরা লুটেপুটে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করুক। যে যার মত মহাসড়ক বন্ধক রেখে ব্যাংক লোন নিয়ে করোনাকালে আগত রমজান ও ঈদ উদযাপন করবো…
আহমেদ আবু জাফর
সাধারণ সম্পাদক
বিএমএসএফ