ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার পুলিশ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মাদকসহ স্থানীয় একজন একাধিক মাদক মামলার আসামি ও একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছেন। এরা হলেন- নবীনগর অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম নোয়াফের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএসকে মাহাবুব ও নবীনগর প্রেস ক্লাবের সদস্য (সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক) কখম হযরত আলী।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাতেই মাদক আইনে নবীনগর থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বহুল আলোচিত এই দুই ব্যক্তির গ্রেপ্তার হওয়ার সংবাদ ও এদেরকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে আনার আগে মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের পঞ্চবটি এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে এমএসকে মাহবুব ও হযরত আলী স্থানীয় এক মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে ৬ পিস ইয়াবা ক্রয় করেন। এসময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক এদেরকে পাকড়াও করে ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। পরে নবীনগর থানার ওসি আমীনুর রশিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইয়াবা (মাদক) ট্যাবলেটসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে নবীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বুধবার সকালে প্রেস ক্লাবের জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে প্রেস ক্লাবের সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে নবীনগর অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম নোয়াফের সভাপতি সফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, ‘এই ঘটনার পর তাকে (মাহবুব) আর সংগঠনে রাখার কোনো সুযোগ নেই। শিগগিরই ফোরামের সভা ডেকে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে।’
এ বিষয়ে গ্রেপ্তার হওয়া দুজন থানার হাজতে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। কিন্তু ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এম এস কে মাহবুব নিজের মুখে স্বীকার করে বলতেছে এগুলো তার, তবে তাদের পক্ষে ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক কিনা সেটি পুলিশকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখতে ফেসবুকে কেউ কেউ দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ওসি আমীনুর রশীদ বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ষড়যন্ত্রের কোনো আভাস পাইনি। একটি ভিডিও ফুটেজে সেটি পরিষ্কার বুঝা গেছে। এ ঘটনায় জহিরুল নামের একজন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বুধবার সকালে এদেরকে কোর্টে চালান করা হবে।’
প্রসঙ্গত, এমএসকে মাহবুব এর আগেও একাধিকবার মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। নবীনগর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।