বেনাপোল পৌর্ট থানাধীন দূরগাপুর গ্রামের ফাতেমা বেগম। বয়স আনুমানিক প্রায় ষাট বছর।স্বামী অনেক আগেই মারা গেছে, সহায় সম্বলহীন ফাতেমা বেগম জীবিকার তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করেন।সারা দিন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে যে টাকা উপার্জন হয় তা দিয়ে জীবিকা নিবাহ করে এবং অতিরিক্ত টাকা গুলি জমাতে শুরু করে, যা দিয়ে শেষ বয়সে একটু ভালো থাকা যাবে।কিন্ত ভাগ্যের বিড়ম্বনায় তার এই তিল-তিল করে জমানো টাকায় নজর পরে এক প্রতিবেশীর।
সে ধার হিসাবে ফাতেমা বেগমের টাকা গুলো চান, ফাতেমা বেগমও একটু নিরাপদে টাকা গুলো রাখতে প্রতিবেশীকে ধার দেন নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা। কিন্তু কিছু দিন পরে যখন ফাতেমা বেগম তার টাকা গুলো ফেরত চান তখন প্রতিবেশী নানা অজুহাতে তাকে ঘুরাতে থাকে এবং এক পর্যায়ে টাকা গুলি না দেবার জন্য নানা রকম ছলচাতুরি শুরু করে। ফাতেমা বেগম টাকার জন্য তার পিছনে ঘুরতে ঘুরতে দিশেহারা হয়ে পড়ে। সে টাকার কোন উপায়ন্ত না পেয়ে বেনাপোল পৌর্ট থানা পুলিশের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ করে।
বিষয়টি বেনাপোল পৌর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনা এসআই(নিরস্ত্র)/ মোঃ সোহেল রানা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখেন এবং তদন্ত শুরু করেন। এক পর্যায়ে ঘটনায় উল্লেখিত অভিযোগের সত্যতা মেলে এবং ভিক্ষুক ফাতেমা বেগমের শেষ সম্বল নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার করে তার নিকট হস্তান্তর করেন।
ফাতেমা বেগম তার তিল-তিল করে জমানো শেষ সম্বল নগদ অর্থ ফেরত পেয়ে অনেক খুশি হন।
আসুন আমরা সকলে আরো বেশি সচেতন হই, সুন্দর দেশ গড়ি।