সড়ক ব্যবস্থা সংস্কারে চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনে দুষ্কৃতকারীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস পরে নাশকতার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, দুষ্কৃতকারীরা মিশে যাচ্ছে প্রকৃত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।
এ আশঙ্কার কিছুটা প্রমাণও মিলেছে। পোশাক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে বেড়ে গেছে স্কুল ড্রেস বিক্রির পরিমাণ। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন তারা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পরপরই স্কুল ড্রেস বিক্রি বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট মার্কেটগুলোতে সরেজমিন ঘুরে এমন প্রমাণই পাওয়া যায়। রাজধানীতে স্কুল ড্রেস তথা সাদা-কালো শার্ট পাওয়া যায় এমন মার্কেটের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেট, আল্লাহ করিম সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প ও পুরনো কাপড় বিক্রির মার্কেট গরিবুল্লাহ মার্কেট। বিক্রেতারা জানান, এ অফ সিজনে কখনো এত শার্ট বিক্রি হয় না। বর্তমানে বেশি বিক্রি হচ্ছে সাদা ও কালো স্কুল ড্রেসের শার্ট। কোনো ছোট শার্ট নয়, সব বড় শার্টই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান দোকানিরা। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, মোটামুটি বয়সে বড় ‘ছাত্র’রাই এ শার্টের ক্রেতা।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩/এ সড়কে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করেছেন, স্কুল ড্রেস পরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। এ আশঙ্কা গুঞ্জরিত হচ্ছিল আরও আগ থেকেই। এ অবস্থায় প্রকৃত ছাত্রদের মধ্য থেকে অছাত্রদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। অভিভাবকরা বলছেন, দুষ্কৃতকারীদের দায়ভার কোনোভাবেই ছাত্রদের ওপর চাপানো উচিত হবে না। কারা এর পেছনে জড়িত, তা খুঁজে বের করতে হবে।
পথচারী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব শিক্ষার্থীর চেহারা, আচরণ ও বেশভুষা দেখে মনে হয় না এরা স্কুলের শিক্ষার্থী। এ সুযোগে ঘোলা জলে কেউ মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার আবেদন জানান তারা।