Kazi Emadul Haque এর সাথে সাতক্ষীরার দেবহাটা
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে ১২.০৮.২০১৯ তারিখে পরিচয়। শুরুতেই ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করলেন। একটু অবাক হলাম, পরিচয় জানতে পারলাম। অফিস সহকারী হলেও ইংরেজিতে বলার দক্ষতা প্রসংসার দাবি রাখে। আমাদের অনেক কর্মকর্তা ইংরেজিকে ভয় পান, পারলে এড়িয়ে চলেন। তার মধ্যে এ ধরনের ভয়, সংকোচ পেলাম না। তারপর থেকে যোগাযোগ মাধ্যমে সরব উপস্থিতি। আমার প্রায় প্রত্যেক স্টাটাসে চমৎকার মন্তব্য করেছেন। সব সময় ইংরেজিতে শুদ্ধভাবে লিখেছেন। সুন্দরভাবে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন। মাঝে মাঝে কথা হয়েছে। পদ পদবির বাইরে তিনি আমার সুহৃদ হয়েছেন। তাকে আমার যোগ্য মনে হয়েছে।
আমার চাকরির শুরুতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জামিল সাহেবকে পেয়েছিলাম। তিনি ডিসি স্যারের গোপনীয় সহকারী বা সিএ ছিলেন। তিনি আমাকে হাতে কলমে কাজ শিখিয়েছিলেন। বাগেরহাটে পেয়েছিলাম সত্যজিৎ বাবুকে, ঘিওর ইউএনও অফিসে আজাদ সাহেবকে, নবাবগঞ্জ ইউএনও অফিসে মামুন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা রশিদ সাহেবকে, গনপূর্ত মন্ত্রণালয়ে শফিক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিরাজুল সাহেবকে।
অফিস পরিচালনায় এমন যোগ্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অনেক অবদান। অনেকে স্বীকার করে না। আমি মনে প্রানে স্বীকার করি, আমি মনে করি কাজ মানেই গ্রুপ ওয়ার্ক। কেহ কেহ বলে আমি আর আমি… আমরা শব্দে আমার বিশ্বাস, যে আমরা শব্দের মধ্যে আছে এমাদুল সাহেবদেরও অবদান।
যাহোক, অফিস সহকারী কাজী এমাদুল হক সাহেব গতকাল ১০.০৬.২০২১ তারিখে সরকারি চাকরি থেকে স্বাভাবিক নিয়মে অবসরে গিয়েছেন। তাই, তাকে স্মরণ করি। জানাই শুভ কামনা ও শ্রদ্ধা।
সহধর্মিণীর নাম – জাহানারা হক
পিতা- মৃত কাজি মুজিবুর রহমান,
মাতা- মৃত মসজিদেন্নেসা,
পুত্র- কাজি জাহাঙ্গীর (অর্থনীতিতে এম এ)
কন্যা – ইলোরা ইয়াসমিন,
কন্যা – ইভানা ইয়াসমিন
গ্রাম- শ্রীকলা,
ইউনিয়ন – দক্ষিণ শ্রীপুর,
উপজেলা -কালিগঞ্জ,
জেলা- সাতক্ষীরা,
জন্ম- ১১.০৬.১৯৬২
এসএসসি -১৯৭৮
এইচএসসি -১৯৮০ ( ছাত্র হিসেবে মেধাবী ছিলেন)
চাকরিতে যোগদান- ০৭.০৯.১৯৮৩
অবসর- ১০.০৬.২০২১
লেখকঃ আলমগীর হোসেন
উপসচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।
কার্যনির্বাহী সদস্য, ঢাকা অফিসার্স ক্লাব।