ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকাকালে আমি ছবি সংগ্রহে রাখতাম না। চাকরির সাধারণ নিয়মে এসেছি আবার চলে যাব, এরকমই ভাবনা । অনেকের মতো কোথাও নাম ফলক ইচ্ছে করেই রেখে আসে নি। তবে চলে আসার পরে কেন জানি অনেকেই মনে রেখেছে। যা হোক, নবাবগঞ্জ উপজেলার একজন প্রিয় সাংবাদিক নাসিম স্যারের সাথে ছবিটি পাঠালেন । উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকাকালে স্যারের সাথে সম্পর্ক হয়। এরপর আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চলে আসি। স্যারের অফিস চারতলায়। আমার তিন তলায় । একদিন স্যারের সাথে লিফটে দেখা হলো । স্যার সহজেই চিনলেন। দেখা করতে বললেন । তারপর আমার স্কুলের বড় ভাই ডা: আবুল কালাম আজাদ এর খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় বদলির জন্য গেলাম। পাশের থেকে অন্য এক ডাক্তার বিপক্ষে বললেন । আমি তার এসএসসি ‘তে সারাদেশের মধ্যে ১৯৭৬ সালে ফাস্ট স্যান্ড করার কথা বললাম। খুব দ্রুত তার বদলি হলো ঢাকায়। ধারাবাহিকতায় DG Heath এ পরিচালক (প্রশাসন) পর্যন্ত পদায়ন / পদোন্নতি। এরপর যতবার স্যারের কাছে গেছি,উপকার হয়েছে আমার পরিচিত ডাক্তারদের । আমার ফুফাতো ভাই ডাক্তার সোহরাব হোসেনএর পদায়ন এতো দ্রত হয়, আমি অবাক হই। তিনি কেবল আমার পরিচিত ডাক্তারদের পদায়ন / পদোন্নতি দেন নি, সাধারণ আয়া কুলসুমের সাতক্ষীরা থেকে বরিশাল বদলি বাতিলের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেন বিশেষ কারণে । আমার চোখে দেখা এত উপকার, এত দায় শোধ করতে পারব না। আমার পরিচিত ডাক্তারদের যাদের উপকার হয়েছে, তাদের প্রতি অনুরোধ রাখব, স্যারের মাগফেরাত কামনা করার জন্য। আমি এক সামান্য অফিসার হিসেবে যে আনুকূল্য পেয়েছি, আমার সাধারণ কথা অসাধারণ ভাবে নিয়েছিলেন তা আর জীবনে ভোলার নয়। এত কাছাকাছি যাওয়ার একজন বড় ও অনন্য সাধারণ মানুষ সফল স্যারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ।
লেখকঃআলমগীর হোসেন।উপসচিব, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং কার্যনির্বাহী সদস্য, ঢাকা অফিসার্স ক্লাব।