উজ্জ্বল রায় (জেলা প্রতিনিধি) নড়াইল থেকে:
সরকারিভাবে সোমবার থেকে ৭ দিন কঠোর লকডাউন ঘোষণায় নড়াইলের কাঁচাবাজারে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকায় ভিড় আরো বেশি হয়েছে। চলমান সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় মুদি ও চালের দোকান বন্ধ থাকলেও আজ শনিবার অনেক দোকানই এক সার্টার খুলে কেনা বেচা করে। ২৫ কেজির প্রতি বস্তা চালের দাম ১০০ টাকা করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে, প্রতি কেজিতে ৪ টাকা বৃদ্ধি করে বিক্রি করা হচ্ছে।লকডাউনের আগে চাল কেনা থাকলেও ইচ্ছে মত দাম হাকিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সাথে সাথে কাঁচা মালের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছে। শনিবার জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার শতকরা ২৮ দশমিক ১২ । ৩২ নমুনা পরীক্ষায় ০৯ জন করোনা পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।জেলায় করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৬ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২৪৬৬ জন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। এর মধ্যে সদরে ১৩২৭ জন, লোহাগড়ায় ৮৭৮ জন ও কালিয়ায় ২৬১ জন রয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৯৪৬ জন। এদিকে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় নড়াইলে স্থানীয়ভাবে চলছে ৬ষ্ট দিনের মতো দ্বিতীয় দফার লকডাউন, চলবে আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত। লকডাউন সফল করতে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত লকডাউনের নীতিমালা অনুসরণ করে শুধু মাত্র কাঁচাবাজার, মাছ, ফলের দোকান খোলা থাকছে। ১২ টার পর সকল কাাঁচাবাজার বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। লকডাউন চলাকালে দূরপাল্লার যানবাহনসহ আন্তঃজেলায় চলাচলকারী সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরী পরিসেবা এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা থেকে জনসচেতনতা মূলক বার্তা প্রচারসহ সাধারণ জনগনকে ঘরের বাইরে বাহির হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা ও মাস্ক পরিধান না করা এবং সরকার ঘোষিত লকডাউনের আইন অমান্য করার অপরাধে শুক্রবার সকাল-থেকে রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে মোট ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।