ফিরোজ হোসেন সাগরঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমাতে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত কতৃপক্ষের অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
নানারকম সমস্যার কথিত উদ্যেগ নিলেও পৃথিবীর বুকে হানা দেয় করোনা মহামারী। যার কারণে ভয়ঙ্কর দূর্দশার শিকার বাংলাদেশের শিক্ষাখাত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে অনলাইনে কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতা কথিত অনলাইন ক্লাস শুরু হয়। সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী প্রলয় পাল বলেন, অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে একপ্রকার শিক্ষকদের অনিহা প্রকাশ পায়।ঢাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যখন অনলাইন ক্লাস সম্পন্ন করে অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু করে তখনই অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে সরব হয় সাত কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা এ বিষয়ে মতামতও গ্রহন করে। এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ সাদী বলেন, ৯২-৯৫% শিক্ষার্থী অনলাইনে পরীক্ষা বিষয়ে মতামত দিলেও কতৃপক্ষের একতরফা সিদ্ধান্তে ভ্যাস্কিন বিহীন স্বশরীরে পরীক্ষার নেওয়ার উদ্যেগ নেয়।
সাত কলেজ কতৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভ্যাস্কিন সংক্রান্ত তথ্য নিয়েও টিকা নিশ্চিত করেনি। এ বিষয়ে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ড.মাকসুদ কামাল স্যার বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা পেতে সাত কলেজ থেকে কোন তথ্য দেওয়া হয়নি।
এ রকম দ্বিমুখী সিদ্ধান্তের কারণে সাত কলজের শিক্ষার্থীরা হতাশা ও স্বাস্থ্যঝুকিতে সময় অতিবাহিত করছে।