রংপুরে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির জেলা সম্পাদক আফরোজা সরকারসহ ৫ সাংবাদিকের ওপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর বলেন, সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা দেশের গণমাধ্যম কমর্মীদের জন্য হুমকিস্বপরুপ। বিশেষ করে গ্রামীন জনপদে এভাবে একজন নারী সাংবাদিকের ওপর হামলা, লাঞ্ছনা, শ্লীলতাহানী কোন ভাবেই মেনে নেবার নয়। হামলাকারী যেই হোক; তাদেরকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাোনা উচিত। গ্রামীন পর্যায়ে কর্মরত গণমাধ্যম-কর্মী বিশেষ করে নারীরা এমনিতেই নানা বৈষম্য ও অবহেলার শিকার। বৈষম্য নিরসন এবং সুবিচারের স্বার্থে প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বিএমএসএফ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিসরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার করলেও বাস্তবতা কিন্তু বদলায়নি। বহু আগ থেকেই যেন বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের বিচারহীনতার একটি সংস্কৃতি চলছে। এতে একটি গোষ্ঠীর মাঝে ধারণা জন্মেছে যে, সাংবাদিক নির্যাতন করলে কিছু হয় না। এ প্রবণতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টিকে যথেষ্ট নাজুক করে দিয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
সম্প্রতি রংপুরের হামলার ঘটনাসহ সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতার প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সাংবাদিক ও মতপ্রকাশ-কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির রংপুর শাখা সূত্রে প্রকাশ; ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে সভাস্থলে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা ক্লাবের সদস্যদের মারধর করতে শুরু করে। এতে ক্লাবের পাঁচ সদস্য আহত হন। আহতদের মধ্যে ক্লাবের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজম পারভেজ ও সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির জেলা সম্পাদক আফরোজা সরকারের অবস্থা গুরুতর। তারা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।