শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
জলবায়ু অভিযোজনে সহায়তা দ্বিগুনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। – পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী ভবনের নকশা অনুমোদনে এসটিপি স্থাপনের শর্ত আরোপ করতে বললেন গণপূর্তমন্ত্রী পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী  নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে” –মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ মাজহারুল ইসলাম বিপিএম কালিগঞ্জের পল্লীতে প্রবাসীর জমি থেকে বৃক্ষ নিধনের অভিযোগ উঠেছে  বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ জন বিজিপি, সেনা ও অন্য সদস্যদের প্রত্যাবাসন যাদের কোন জাত নেই, যাদের কোন ধর্ম নেই তারাই শ্রমিক হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে- ফরিদপুরে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে সরকারের উন্নয়ন কাজেরও ব্যত্যয় ঘটবে- পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

ইউএনও>পিআইও বিহীন চলছে পবা প্রশাসন

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১, ৮.৩৮ এএম
  • ১৪১ বার পঠিত

 

রাজশাহীর জেলার সবচেয়ে কাছের উপজেলা পবা উপজেলা। রাজশাহী মহানগরীতে ঢুকতে হলে পবা উপজেলাকে অতিক্রম করতে হবে। আটটি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভা নিয়ে পবা উপজেলা। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় পিআইও (প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) ও বেশকিছুদিন থেকে ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) পদ শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে তৈরি হয়েছে স্থবিরতা। এতে জনগণও বঞ্চিত হচ্ছেন সেবা থেকে।

পবা উপজেলার উত্তরে মোহনপুর ও তানোর উপজেলা, দক্ষিণে চারঘাট উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে পুঠিয়া ও দূর্গাপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে গোদাগাড়ী উপজেলা। এটি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সংলগ্ন একটি উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনের চারিদিক ঘিরেই পবা উপজেলার অবস্থান। সিটি করপোরেশন সহ আরএমপি ১২টি থানার অংশবিশেষ পবা উপজেলায় বিদ্যমান। শাহ মখদুম বিমান বন্দরও পবা উপজেলা নওহাটা পৌরসভার অন্তর্গত।

এছাড়াও একটি সুগার মিল, চারটি জুটমিল, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ১২টি বৃহৎ কোল্ড স্টোরেজ, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, একটি সরকারী শিশু পরিবার ও একটি সেফ হোম রয়েছে। এক কথায় জেলার একটি ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হচ্ছে পবা। অথচ ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাজ। এতে অনেক জরুরী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ।

ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলাটির একটি অংশে চরাঞ্চল অবস্থিত। চরের লোকজন জরুরি সব ধরনের সেবা থেকে এমনিতেই বঞ্চিত হন। যেকোনো কাজের জন্য একজন মানুষকে দুর্গম পথ পার হয়ে একাধিকবার সরকারি কার্যালয়ে আসতে হয়। তারপর সেখানে এসে কর্মকর্তা না পেলে ভোগান্তির সীমা ছাড়িয়ে যায়।

মাঠ প্রশাসনে জেলা প্রশাসকের পরে উপজেলায় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অবস্থান। সেখানে এই উপজেলায় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পদ ফাঁকা। মাঠ প্রশাসনে ডিসি ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা সরকারের সকল প্রকার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন বিভাগের কাজের সমন্বয় সাধন করে থাকেন।

জানা গেছে, পবা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তাকে আর্থিক ক্ষমতা দেয়া হয়নি। যে কারণে উন্নয়ন কর্মকান্ড ঝিমিয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তদারকিকরণ, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ তদারকি ও বাস্তবায়ন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন, আশ্রয়ণ প্রকল্প, আদর্শ গ্রাম, আবাসন প্রকল্প গ্রহণ ও তাদের বাস্তবায়ন।

এছাড়াও অসহায় মানুষদের বিভিন্ন আশ্রয়ণে সংস্থানকরণ, আবাসনবাসীদের ঋণ প্রদান ও তাদেরকে স্বাবলম্বীকরণ, উপজাতিয়দের ঋণ প্রদান তাদেরকে স্বাবলম্বীকরণ যাবতীয় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনী বিভিন্ন ভাতা, প্রচলিত আইন মোতাবেক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, স্থানীয় সংস্কৃতি উন্নয়ন, খেলাধুলার মান উন্নয়ন, সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা, কৃষি উন্নয়ন, সারের ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ নিশ্চিতকরণ, অর্পিত সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা উপরোক্ত কার্যক্রমগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অধীনে বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার না থাকার কারণে এগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে এই উপজেলায়।

পবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী জানান, প্রায় বছর হতে চলেছে এই উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাই। এরপরেও বর্তমানে ইউএনও’র পদও শূন্য। এই অবস্থায় উপজেলার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকলেও নিজ নিজ দপ্তর দেখভালের পাশাপাশি এই দপ্তর দেখা অনেকাংশে পিছিয়ে পড়ছে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কোন পদে দায়িত্বশীল নির্দিষ্ট কর্মকর্তা না থাকলে উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত হবে এটাই স্বাভাবিক। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন। খুব শীঘ্রই পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোগদান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর

পুরাতন খবর

SatSunMonTueWedThuFri
  12345
27282930   
       
     12
24252627282930
       
2930     
       
    123
       
    123
25262728   
       
     12
31      
   1234
262728    
       
  12345
2728     
       
   1234
       
     12
31      
1234567
891011121314
15161718192021
2930     
       
    123
11121314151617
       
  12345
20212223242526
27282930   
       
      1
2345678
23242526272829
3031     
      1
       
293031    
       
     12
10111213141516
       
  12345
       
2930     
       
    123
18192021222324
25262728293031
       
28293031   
       
      1
16171819202122
30      
   1234
       
14151617181920
282930    
       
     12
31      
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
       
© All rights reserved © MKProtidin.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com