চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিদ্যুৎ এর ৪০০/১৩২ কেভির সাবস্টেশন নির্মান এর ফলে প্রায় ৩০বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা, কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবার আবেদন করেছেন। ভূক্তোভূগি আলহাজ্ব মতিউর রহমান জানান, “জেভি অব সাংহাই ইলেকট্রিক এন্ড রেভিরাই পাউয়ার গ্রেড কোম্পানি অব বাংলাদেশ(পিজিসিবি) লিঃ ”নিউ রহনপুর ৪০০/১৩২ কেভি আউটডোর জিস সাবস্টেশন নির্মানের ফলে ওই পাওয়ার সাবস্টেশন এলাকায় আমার প্রায় সাড়ে ১৫বিঘা জমি জলাবদ্ধা সৃষ্টির ফলে দুই বছর যাবৎ জমি চাষাবাদ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হচ্ছে। ২বছরে প্রায় শুধু আমার জমির ৫০০মন ধান নষ্ট হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৫লক্ষ টাকা। এছাড়াও ওই এলাকায় কৃষক আব্দু সাত্তার, মাহাতাব উদ্দিন, তোহর আহম্মেদ, আব্দুর রাজ্জাক, আলমগীর হোসেন, সাবের আলী, জাহাঙ্গীর আলম ও শামসুদ্দিন এর প্রায় আরো ১০/১২ বিঘার এই জলাবদ্ধতায় জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাদেরও অনেক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই জলাবদ্ধতার বিষয়ে সাবস্টেশন নির্মান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে একাধিকবার অবহিত করে এর কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। পক্ষান্তরে তারাই আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদান করছে। এর প্রতিকার পাওয়ায় আশায় নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করা হলেও কোন প্রতিকার পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে গত ১৮/০৮/২০২১ ইং তারিখে তৎকালীন নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা বরাবর আবেদন করি। কিন্তু তিনি প্রমোশন জনিত কারনে বদলি হওয়ায় সেখানে ও প্রতিকার পাইনি।
তিনি আরো জানান, গত২৫.১০.২০২১ ইং তারিখ পুনরায় নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবার আবেদন করেছি। সেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন দিবেদন বলে জানান। ওই সাবষ্টেশন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইসতিয়াক জানান, বিষয়টি আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছি।আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।