সোহাগ আরেফিনঃ
১৬ ই জুলাই ২০২০ ইংরেজি তারিখে,হালিশহর রহমান বাগ আবাসিক এলাকায় (২৫) বছরের অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে হালিশহর থানা পুলিশ।
ওই ঘটনায় বাসার কেয়ারটেকার নূরনবী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন হালিশহর থানায়,
দীর্ঘদিন সময় নিয় মূল রহস্য উদঘাটন করে হালিশহর থানা পুলিশ, এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ, মামলার প্রধান আসামি মোঃ সোহাইদ, ও নাহিদা আক্তার।
সিএমপি (ডবলমুরিং জোন) এসি আরিফ হোসেন প্রতিবেদকে বলেন,
আসামি চারটি বিয়ে করেন ছদ্মনাম রেজাউল করিম দিয়ে, প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে রাখেন।
ছদ্মনাম ব্যবহার করাতে আসামিকে শনাক্ত করতে পুলিশের অনেক সময় লাগে,
আসামির চতুর্থ স্ত্রী ভিকটিম লাকী আক্তার এর চাল চলনে সন্দেহ করতো সেই, তাদের পারিবারিক কলহ সব সময় লেগে থাকত, একপর্যায়ে তৃতীয় স্ত্রী সহযোগিতায় হালিশহর রহমান বাগের বাসায় ভিকটিম লাকী আক্তারকে হত্যা করে সোহাইল চলে যায় বাগেরহাটে দ্বিতীয় স্ত্রী নাছিমার কাছে। এবং গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন কৌশলে আত্মগোপনে থাকতো সে।
হালিশহর থানা পুলিশের বিশেষ টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনা বাগেরহাট থেকে আটক করে আসামিকে পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার কেও আটক করে।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহাইল আহমেদ পুলিশকে জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পোশাক কারখানার শ্রমিক লাকী আক্তার পিংকি ওরফে আফসানার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় সোহাইল।
পিংকি ওরফে আফসানা ছিল সোহাইলের চতুর্থ স্ত্রী। এদিকে এর আগে আরও তিনটি বিয়ে করার তথ্য গোপন রেখে আফসানাকে বিয়ে করে সোহাইল। সোহাইলের প্রথম স্ত্রী ছিল পারভিন, দ্বিতীয় স্ত্রী নাছিমা ও তৃতীয় স্ত্রী ছিল নাহিদা আক্তার।
আফসানাকে হত্যায় সহযোগিতা করে সোহাইলের তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার।
যাকে সোহাইল ২০১৬ সালে বিয়ে করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সোহাইল পুলিশকে আরও বলে,
গত বছরের ১৬ জুলাই সোহাইল ও আফসানা বাসায় থাকাকালীন তার তৃতীয় স্ত্রী নাহিদা বাসায় আসে। বিয়ের পর থেকে আফসানার চলাফেরা নিয়ে সন্দেহ করত সোহাইল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়াও হয়।
ওই দিন একই বিষয় নিয়ে আফসানার সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ায় সোহাইল। মারধর করা হয় আফসানাকে।
মারধরের একপর্যায়ে আফসানা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তার পরনে থাকা কাপড়-চোপড় খুলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আফসানার মৃত্যু নিশ্চিত করে সোহাইল। লাশ বিছানার চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে রান্না ঘরে রেখে দেয়। আফসানার মৃত্যুর ঘটনাটি নাহিদার চোখের সামনে ঘটলেও নাহিদা প্রতিবাদ না করে সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।