ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে এ সংলাপ অনুষ্ঠানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র ড. কামালের বাসায় পৌঁছে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্র মঙ্গলবার সকালে ড. কামালের বেইলি রোডের বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পর আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়। তা আমি অফিশিয়ালি গ্রহণ করি। সেই চিঠির জন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ দিয়েছেন এবং তারই আলোকে একটি অফিশিয়াল বক্তব্য আমার মাধ্যমে ড. কামাল হোসেনের কাছে পাঠিয়েছেন।অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংবিধানসম্মত সকল বিষয় আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরজা সর্বদা উন্মুক্ত। তাই ওনারা যে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে ওনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই আমন্ত্রণপত্রটি আমি সরাসরি ড. কামাল হোসেন সাহেবের হাতে তুলে দিয়েছি।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। তারপর ওনারা জানিয়ে দিয়েছিলেন খুব তাড়াতাড়ি বসবেন। আমরা কয়জন যাচ্ছি, কে কে যাচ্ছি সেই লিস্টতা ওনারা জানতে চেয়েছেন। আমরা আজকেই লিস্টটা দিয়ে দিব। ওনারা আমাদের ১ নভেম্বর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শুধু সাত দফা না, সাত দফাসহ অন্যান্য বিষয় এবং বর্তমান যে ইস্যুগুলো আছে সবগুলো নিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি করার জন্য ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অনুরোধ করব। এর জন্য উনি যদি আমাদের কাছে কোনো সাহায্য–সহযোগিতা চান, তা অবশ্যই আমরা করব।
মন্টু বলেন, ড. কামাল হোসেন সাহেব যেহেতু সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম, তাই তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যাটা দিতে পারবেন। বিষয়টা আমরা ওনার ওপরে ছেড়ে দিচ্ছি। তিনি আমাদের নেতৃত্ব দিবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন। আমরা ওনার কাছে আবেদন করব জাতিকে এ সংকট থেকে রক্ষা করার।মোস্তফা মহসীন মন্টু আরো বলেন, আমাদের জোটের দলসমূহের নেতৃবৃন্দ যারা আছেন তাদের মধ্য থেকে ১৫ জনের কমবেশি প্রতিনিধি দলে থাকতে পারে। এ সময় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রধানমন্ত্রীর দেয়া চিঠিটি সাংবাদিকদের পড়ে শোনান।
এর আগে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে ড. কামাল হোসেনের বেইলী রোডের বাসায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চিঠি নিয়ে যান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।