মাসুদ রানাঃবাংলাদেশের একটি অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা পাবনা। অতীতে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা সদরের মোট সতেরোটি থানা নিয়ে জেলা হিসেবে পরিচিত হয়েছিল এই পাবনা।
স্বাধীনতার পূর্বে এই পাবনা জেলা ছিল উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার। যমুনা নদীর পশ্চিম তীরে পাবনা-নগরবাড়ী ঘাট এবং পূর্বে মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা ঘাট ছিল ঢাকার সাথে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। বলতে গেলে তখন ঢাকা যাতায়াতের একমাত্র উপায় বা পথ ছিল নগরবাড়ি ঘাট।
যা পাবনা শহর থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে বেড়া থানার জাতসাখিনী ইউনিয়নের যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত।
১৯৬৪ সালে নগরবাড়ি ঘাট প্রথম ফেরি চলাচলের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যা তখনকার পাবনা জেলার সর্ববৃহৎ ফেরিঘাট ছিল।
হাজারো কর্মচাঞ্চল্যের নগরবাড়ী ছিল মহাব্যস্ত একটি ঘাট। বর্তমানে এটিকে নৌ বন্দর ঘোষণা করায় যমুনা সেতুতে চাপ কমার পাশাপাশি এই নৌবন্দরে লঞ্চ, মালামাল বহনের কার্গো ইত্যাদি চলাচলের মাধ্যমে আবারো স্বপ্নীল হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম এই ঘাট ।
পাবনা-নগরবাড়ী ঘাটে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় হাজার হাজার টন ইউরিয়া সার, সিমেন্ট ,রড ইত্যাদি। বিসিআইসি ও বিভিন্ন আমদানিকারক চীন, মিশর, সৌদি আরব ,তিউনিসিয়া সহ বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরিয়া, ডিএপি, এমওপি ও টিএসপি সার সমুদ্রপথে নিয়ে আসে চট্টগ্রাম বন্দরে।
সেখান থেকে নৌপথে বিসিআইসি উত্তর অঞ্চলের চৌদ্দটি বাফার গুদাম এবং আমদানিকারকেরা বিভিন্ন জেলায় পাঠানোর জন্য পাবনা-নগরবাড়ী ঘাটে নিয়ে আসে। যা আমাদের পাবনা জেলার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করছে সেই সাথে সরকারের সহায়তা পেলে এই দিক থেকে আরও সম্ভাবনা বাড়বে।