ইদানিং ধামরাই থানার পুলিশ বিরোধপূর্ণ জায়গা জমি দখল করে দেয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছে। রীতিমত ভাড়াটে দুর্বৃত্ত স্টাইলে গাড়ি বহর নিয়ে, অস্ত্রশস্ত্র উচিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামার মুডে হাজির হচ্ছেন পুলিশ দল। তাদের পাহাড়াতেই বিরোধীয় জমিতে সীমানা ওয়াল নির্মাণ, মাটি ভরাট কিংবা অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে তোলার ঘটনা ঘটছে।
পুলিশের পক্ষপাতিত্ব মূলক এ জায়গা জমি দখলবাজি কালে কেউ টু শব্দটি করলেও তার রেহাই মেলে না। মারধর, আটক, হাজতবাসের শিকার হতে হতে হয়।
পুলিশের জায়গা দখলবাজির সবশেষ ঘটনা ঘটেছে গতকাল থানার কালামপুর এলাকায়। সেখানে জনৈক জবেদ আলী গং এর প্রায় ৬০ বছর ধরে মালিকানায় থাকা জমিতে হটাৎ হামলে পড়ে পুলিশ। তাদের দাবি,
সেটেলমেন্ট অফিসের মাধ্যমে আরএস রেকর্ড করে এ জমির মালিকানা দাবিদার হয়েছেন মামুন। মূলত তার পক্ষেই পুলিশ জমি দখলে সহায়তা করে।
স্থানীয়রা জানান, তিনদিন যাবৎ পুলিশ দিয়ে মাছ ভর্তি পুকুরে বালু ফেলে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে তিন গাড়ি পুলিশের উপস্থিতিতে অবৈধ ভাবে ঘর নির্মাণ শুরু হয়। এ সময় জবেদ আলী মাতব্বর এর মেয়েরা আসে তাদের পিতার জমি দখল কেন করছে তা জানতে। এমন সময় হঠাৎ পুলিশ চড়াও হয়ে উপস্থিত তিন নারীকে পুলিশ পিক-আপে করে থানায় নিয়ে যায়। অন্য বোনেরা সামনে দাড়ালে তাদের ধাক্কা মেরে সড়কের উপর ফেলে দেয়া হয়। এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করায় এক সাংবাদিকের ক্যামেরা পর্যন্ত কেড়ে নেয় এএসআই জসিম।
জমি নিয়ে এই সংঘর্ষ এলাকায় ব্যপক অস্থিরতা তৈরি করেছে, প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়েও।
তথ্যসূত্রঃ দেশপত্র পত্রিকা