গাজী এনামুল হক (লিটন)
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আগামী ৫ জানুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে ২ নং ধানীসাফা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম আকন (রফিক প্রফেসর) এর চশমা প্রতীক জনপ্রিয়তায় শীর্ষে রয়েছে। শুক্রবার সরেজমিনে সাফা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং গ্রামে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যান্য প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী কর্তৃক এক অজানা ভয়ে প্রকাশ্যে মিটিং, মিছিল করতে না পারলেও গোপনে প্রচারণা অংশ গ্রহণ করছেন রফিক প্রফেসরের অনুসারি এবং কর্মীরা। পাড়া-মহল্লা, হোটেল-রেস্তরা, চায়ের দোকানে সর্বত্রই রফিক প্রফেসরের গুণগান। মনে হচ্ছে তিনি যেন সকল শ্রেণী পেশার ছোট-বড় নারী-পুরুষের মনে ঢুকে পরেছেন। তবে অজানা আতংকে সকলেই নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তাদের বিশ্বাস সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচণ অনুষ্ঠিত হলে রফিক প্রফেসর বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন।
চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম আকন (রফিক প্রফেসর) বলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার পরেই একটি চক্র আমার প্রার্থীতা বাতিলের জন্য উঠে পরে লাগে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে প্রার্থীতা বাতিল করতে পারেনি। আমি ২০১৬ সালেও চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলাম। আমার প্রাণপ্রিয় সাফা বাসী আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেন। কিন্তু সেই অশুভ শক্তি ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করে ফেলে।
এবারও চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা প্রদান করে আসছে। আমার মাইক, মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে। আমার পোস্টার-ব্যনার ছিড়ে আগুন ধরিয়ে শীত নিবারন করছেন। কিন্তু আমার প্রতি জনগনের ভালোবাসা পোড়াতে পারেনি। শত বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আমার কর্মী-সমর্থকরা স্ব-প্রনোদিত হয়ে নির্বাচণী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিপক্ষরা যতো ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করে ততই সাধারণ মানুষ আমাকে তাদের শ্রদ্ধা, ভালবাসার আসনে বসান। গ্রামের প্রায় প্রতিটা ঘরে আমার কর্মী রয়েছে। সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে এই ধানীসাফা ইউনিয়নের জনগণ চশমা প্রতীকে রায় দিয়ে ভোট বিপ্লব ঘটাবে- ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যে ফলাফল আসুক, আমি তা মেনে নেব। আমি হেরে গেলে বিজয়ী প্রার্থীর গলায় মালা পড়িয়ে দেব। আমি প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের অনুরোধ করি সহিংসতা বন্ধ করে জনগণকে রায় দিতে সুযোগ দিন। এ জনগণ আপনার ও আমার। জনগনের জান-মাল রক্ষার দ্বায়িত্ব আমাদের। সেই সাথে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি নির্বাচনের উৎসব মূখর পরিবেশ ফিরে আনার সচেষ্ট ভূমিকা রাখবেন।