মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু কিশোরগঞ্জঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী ইউপি সদস্য মাহতাব মিয়া ও পরাজিত ইউপি সদস্য মানিক মিয়ার সমর্থকদের মাঝে দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিজয়ী ইউপি সদস্য মাহতাব মিয়ার সমর্থক নারী পুরুষ সহ ১৫ জন আহত হয় এবং বেশ কয়েকটি বাড়ী ঘর ভাংচুর সহ লুটপাটের অভিযোগ পাত্তয়া পর, ১ম পক্ষের মাহতাব ম্যাম্বারের দায়ের করা মামলা থানায় এন্ট্রি হলে,দ্বিতীয় পক্ষ মামলা করার আলামত না থাকায় আজ নিজের জমিনের পেঁপে গাছ নিজেরা কেটে মামলার আলামত তৈরীর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে সরজমিনে গেলে স্থানীয় পথচারী ও কৃষকদের মধ্যে শারমিন বেগম,মনিরা বেগম,দেলোয়ারা বেগম, মোঃ লাল মিয়া, সুমাইয়া বেগম ও মোঃ জালাল উদ্দীন জানান মাহতার ম্যাম্বার ও তার সমর্থকদের ফাঁসানোর জন্যে আজ শনিবার দুপুরে আনার কলি,শামসুন্নাহার জিয়াসমিন বেগম সহ নাম না জানা আরো একজন নিজেদের পেঁপে ও তরিতরকারির বাগানের কিছু দূর্বল গাছ কেটে ফেলতে দেখেছেন এবং মামলার আলাত তৈরীর জন্য এ কাজ করেছেন বলে জানান।
এই বিষয়ে শিমুল কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আঃ আজিজ ও সহসভাপতি মোঃ ফয়েজ উদ্দিন মঠো ফোনে জানান উক্ত ঘটনায় মাহতাব মিয়ার ১৫ জন আহত,এর মধ্যে একজন গুরুতর আহত,মাহতাব মিয়াকে ফাঁসানোর জন্যে এই সমস্ত গাছ কাটার ভিত্তিহীন আলামত তৈরী করতেছে।
২য় পক্ষের মোঃ আঃ বারিক মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী ফুলেন্নছা আজ ১ম দিনের সংঘর্ষের আঘাতের ব্যাথা নিয়ে দুপুরে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন,তিনি জানান এলাকায় গাছ কাটার বিষয়ে কিছুই জানেন না।
গত বৃহস্পতিবার ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোমাম মস্তুফা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সংঘর্ষের তুলাকান্দি এলাকা পরিদর্শন করে পরিস্থিতি সাবাবিক রাখার জন্য দুই পক্ষকে পরামর্শ ও নির্দেশদেন।
এই বিষয়ে ১ ম পক্ষের মামলার আয়ূ এস আই রিগেন কে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি এখন কিশোরগঞ্জে আছি, আজকের এই ঘটনার কিছুই জানি নাই,জেনে পরে জানাব।