মনিরুজ্জামান (মহসিন), নলতা, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা থেকে:
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী নলতা হাইস্কুল মাঠে নবকিরণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং সিমরা এগ্রো লিমিটেড এর পৃষ্ঠপোষকতায় ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩ টা হতে অনুষ্ঠিত জাঁকজমকপূর্ণ ৮ দলীয় নকআউট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ফাইনালে নলতা শরীফ বন্ধুমহল ক্রিকেট একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
প্রথমে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন সখীপুর সিটি ডিজিটাল ক্রিকেট একাদশের অধিনায়ক হাসান।
নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে অধিনায়ক হাসানের ৫১ রানের সুবাদে দলীয় ১৪৭ রান করতে সক্ষম হয় দলটি।
জবাবে বদরুল আহ্ছান বাবু’র তত্ত্বাবধানে রাজশাহী, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা ও স্থানীয় খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গঠিত নলতা শরীফ বন্ধুমহল ক্রিকেট একাদশ ১৪৮ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ১৪.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দলীয় ১৫১ রান করে টুর্ণামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অতিথিবৃন্দের হাত থেকে
নবকিরণ ফাউন্ডেশনের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ও সিমরা এগ্রো লিমিটেড এর পক্ষ থেকে পুরস্কারস্বরূপ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন বিজয়ী দলের টিম ম্যানেজার সহ খেলোয়াড়বৃন্দ।
ফাইনাল খেলায় নবকিরণ ফাউন্ডেশনের রানার্স আপ ট্রফি এবং ফোর এল এর সাপ্লায়ার্স ও নবকিরণ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আব্দুস সবুর কর্তৃক পুরস্কারস্বরূপ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয় রানার্স আপ সখীপুর সিটি ডিজিটাল ল্যাব ক্রিকেট একাদশকে।
ফাইনাল খেলার শুরুতে ঢাকা থেকে মোবাইলে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক।
খেলায় বিজয়ী দলের আবির ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ বিবেচিত হয়ে ট্রফি ও সিমরা এগ্রো লিঃ এর পক্ষ থেকে ২ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে গ্রহণ করেন।
টুর্ণামেন্টে ম্যান অফ দ্যা সিরিজ বিবেচিত হয়ে ট্রফি এবং নগদ ৫ হাজার ও পাবলিকের পক্ষ থেকে ২ হাজার সহ মোট ৭ হাজার টাকা গ্রহণ করেন রানার্স আপ সিটি ডিজিটাল ল্যাব ক্রিকেট একাদশের নলতার উদীয়মান খেলোয়াড় আল-আমিন। এছাড়া রানার্স আপ দলের খেলোয়াড় আজিজুল ইসলাম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সর্বোচ্চ ছক্কা মারার পুরস্কার গ্রহণ করেন।
ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও নলতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্জ মো. আনিছুজ্জামান খোকন এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
অধ্যাপক ডা: এস এম আব্দুল ওহাব, অধ্যক্ষ তোফায়েল আহমেদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ মো. তারিকুল ইসলাম, প্রভাষক ও সংবাদকর্মী মো: মনিরুজ্জামান (মহসিন), প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ারুল হক, নবকিরণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আহছান কবীর টুটুল, সাধারণ সম্পাদক কাজী রাফিদ আহছান, সিমরা এগ্রো লিমিটেড এর এ জিনএম রাকিবুল ইসলাম রতন, ডাঃ শংকর কুমার পাল, প্রভাষক কামরুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুল হাসান টুটুল,ব্যাংক কর্মকর্তা বেল্লাল হোসেন,শিক্ষক পরিতোষ কুমার, শিক্ষক শেখ আলমগীর কবির, রমজান হোসেন বাবু প্রমূখ।
খেলায় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন মেহেরুল্লাহ আল-গালিব ও ইসমাইল হোসেন খোকন।
ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেন নবকিরণ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম বিন আকবর।
টুর্ণামেন্টের সকল খেলা লাইভে দেখার জন্য আইটি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন নবকিরণ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ও কুয়েট’র শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন ছোটন।
ফাইনালে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন ইসমাইল হোসেন মিলন ও মো. সিরাজুল ইসলাম।
নবকিরণ ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্যদের সহযোগিতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের কর্মকর্তা সারাফত হোসেন।
ডিজিটাল স্কোর বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন অত্র সংগঠনের কর্মকর্তা সজল, তানভীর ও ফয়সাল।
স্কোর বোর্ডের দায়িত্ব পালন করেন- অপু ও তৌহিদ।
নবকিরণ ফাউন্ডেশনের সিজন-২ এর নক আউট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে মাঠের বাউন্ডারি ব্যাপী বিভিন্ন স্পন্সর কর্তৃক ব্যানার, ফাস্টুন, নানা ক্ষেত্রে অসংখ্য আকর্ষনীয় পুরস্কার, প্রতি ম্যাচে ড্রোন ক্যামেরা, নান্দনিক পরিবেশ, মাঠের চতুর্দিকে, গাছে, বিল্ডিংয়ের ছাদে, রাস্তায়, প্রাচীরে নানা শ্রেণি-পেশা ও বয়সের হাজার হাজার দর্শকের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিত ছিল লক্ষ্যনীয়।
ফাইভ স্টার বলে খুলনা বিভাগের মধ্যে এমন জাঁকজমকপূর্ণ বিরল আয়োজন ও অসংখ্য পুরস্কার প্রদান করায় ক্রীড়ামোদী সকল দর্শক তথা খেলোয়াড় বা কর্মকর্তাবৃন্দ আয়োজক কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।